রোজার আগে যে তারিখে কারখানা থেকে তেল বের হবে, সেই তেলের বোতলে নতুন মূল্য মার্ক করা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক হবে।
সেখানে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। এছাড়া গত মাসখানেক ধরে আমরা যে চেষ্টা করছি, রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই সেটার বাস্তবায়ন হবে বলে জানান তিনি।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন দাবি করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোজায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ ও দাম নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে, সেটা দূর করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমাদের জাতীয় যে কমিটি আছে, জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হবে। সেখানে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। বাকি পণ্যগুলোর ইন্ডিকেটিভ (নির্দেশক) মূল্য, সেটা ২০ ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় টাস্কফোর্সের যে বৈঠক আছে, সেই কমিটিতে বসে করা হবে।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমাদের সবকিছু রমজানকে কেন্দ্র করে। রমজান শুরু হবে ১১ মার্চ। বাকি সময়টা আমাদের প্রস্তুতির জন্য। আমরা চেষ্টা করবো, বৈঠকে একটা দামও নির্ধারণ করতে। যে তারিখে কারখানা থেকে তেল বের হবে, সেই তেলের বোতলে নতুন মূল্য মার্ক করা থাকবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আপনারা জানেন, প্রথমে অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়, পরে সেটা পুনর্নির্ধারিত ট্যারিফ অনুসারে খালাস হওয়ার পর কারখানায় গেলে সেই উৎপাদিত তেলেরই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এটার জন্য একটা সময় লাগে, একটা যৌক্তিক সময় তাদের দিতে হয়। আমরা মঙ্গলবার আপনাদের পুনর্নির্ধারিত মূল্য ও কবে থেকে ভোক্তারা সেই সুবিধাটা পাবেন, সেটা নির্ধারণ করে জানাব।
এ ক্ষেত্রে আপনাদের মনিটরিং থাকবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং থাকবে। যেদিন থেকে ঘোষণা করা হবে, সেদিন থেকে আমাদের কারখানা মূল্য, টিপি ও ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য একদিনে পরিবর্তন হবে। আমরা যেদিন নির্ধারণ করবো, সেদিন এমআরপি নির্ধারণ করে দেব। সেটা হচ্ছে, এমআরপি সর্বোচ্চ এত টাকায় বিক্রি হবে, এর বেশিতে কেউ বাজারে বিক্রি করতে পারবে না।