শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ১০-১২ ছাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরের কিলো রোডের রাস্তা অবরোধ করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায়। হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা গোল চত্বরে কিলো রোডের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি রয়েছে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এবং প্রশাসন আমাদের দাবি না মেনে কিছু মিডিয়ার কাছে উল্টো বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে। সেই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রক্টর ড. আলমগীর কবির সেখানে উপস্থিত হন।
প্রক্টর শিক্ষার্থীদের এক পাশের রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে ছাত্রীরা না না বলে প্রতিবাদ জানান এবং বলেন ‘আপনারা দাবি মেনে নেন আমরা চলে যাব’। এরপর একপর্যায়ে অবরোধ ভেঙে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকানোর চেষ্টা হয় এবং তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সেখানে ঢুকতে চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এর এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আন্দোলনে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু আহত শিক্ষার্থীদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ছাত্রলীগের পৃথক ছয়টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন তাদের ওপর হামলাকারীরা হলেন, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ কামাল আরিফ, রিশান তন্ময়, মাহবুবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শফিউল হক রাব্বী, আবু বক্কর, সজীবুর রহমান, খলিলুর রহমান, সাব্বির হোসেন, সাদ্দাম হোসেন পিয়াস এবং কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পদে যোগ দেওয়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মৃন্ময় দাশ ঝোটন।
ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ওখানে কোনো হামলা হয়নি। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল, তারা এখনো আন্দোলন করছে।
এদিকে প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন, অ্যাম্বুলেন্স যাবার সময় নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগের কেউ ছিল না। তারা সবাই শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে আবাসিক হলের পানি, সিট, ইন্টারনেট, খাবারসহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলের রিডিং রুমে আলোচনা করছিল। সমস্যার কথাগুলো বলার জন্য প্রভোস্টকে হলে আসার অনুরোধ জানান। তখন প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা অসুস্থতার কথা জানালে ছাত্রীরা প্রভোস্ট বডির একজন সদস্যকে অল্প সময়ের জন্য হলে আসার অনুরোধ জানান এবং বিষয়টি জরুরি বলে উল্লেখ করলে প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।
এরপরে শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের আচরণে হল থেকে বের হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ২টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলন করেন। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে রুমে ফিরেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন শুক্রবার উপাচার্যের আশ্বাস অনুযায়ী উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল আলোচনায় বসেন। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা শুক্রবার আন্দোলন চালিয়ে যান এবং আল্টিমেটাম দেন
শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরের কিলো রোডের রাস্তা অবরোধ করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায়। হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা গোল চত্বরে কিলো রোডের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি রয়েছে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এবং প্রশাসন আমাদের দাবি না মেনে কিছু মিডিয়ার কাছে উল্টো বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে। সেই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রক্টর ড. আলমগীর কবির সেখানে উপস্থিত হন।
প্রক্টর শিক্ষার্থীদের এক পাশের রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে ছাত্রীরা না না বলে প্রতিবাদ জানান এবং বলেন ‘আপনারা দাবি মেনে নেন আমরা চলে যাব’। এরপর একপর্যায়ে অবরোধ ভেঙে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকানোর চেষ্টা হয় এবং তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সেখানে ঢুকতে চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এর এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আন্দোলনে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু আহত শিক্ষার্থীদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ছাত্রলীগের পৃথক ছয়টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন তাদের ওপর হামলাকারীরা হলেন, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ কামাল আরিফ, রিশান তন্ময়, মাহবুবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শফিউল হক রাব্বী, আবু বক্কর, সজীবুর রহমান, খলিলুর রহমান, সাব্বির হোসেন, সাদ্দাম হোসেন পিয়াস এবং কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পদে যোগ দেওয়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মৃন্ময় দাশ ঝোটন।
ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ওখানে কোনো হামলা হয়নি। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল, তারা এখনো আন্দোলন করছে।
এদিকে প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন, অ্যাম্বুলেন্স যাবার সময় নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগের কেউ ছিল না। তারা সবাই শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে আবাসিক হলের পানি, সিট, ইন্টারনেট, খাবারসহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলের রিডিং রুমে আলোচনা করছিল। সমস্যার কথাগুলো বলার জন্য প্রভোস্টকে হলে আসার অনুরোধ জানান। তখন প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা অসুস্থতার কথা জানালে ছাত্রীরা প্রভোস্ট বডির একজন সদস্যকে অল্প সময়ের জন্য হলে আসার অনুরোধ জানান এবং বিষয়টি জরুরি বলে উল্লেখ করলে প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।
এরপরে শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের আচরণে হল থেকে বের হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ২টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলন করেন। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে রুমে ফিরেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন শুক্রবার উপাচার্যের আশ্বাস অনুযায়ী উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল আলোচনায় বসেন। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা শুক্রবার আন্দোলন চালিয়ে যান এবং আল্টিমেটাম দেন