সকাল ও সন্ধ্যা হলেই কুয়াশায় মুখ ঢাকছে মাঠঘাট। রাতভর টুপটাপ কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতোই। সকালের পরে কুয়াশা কেটে উঁকি দিচ্ছে সূয্যি মামা। শীতের আগমন শুরু হয়েছে ভারতের মেঘালয় ঘেষা সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে।
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। বাংলা পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস মিলে শীতকাল গণনা করা হয়। আশ্বিনের বৃষ্টি শেষে গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর শীত পড়তে শুরু করেছে। সকালে কুয়াশার দেখা মিলছে চারদিকে।
গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় শীতের আগমনী বার্তায় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা , ঝিনাইগাতী, নকলা, নালিতাবাড়ী ও শেরপুর জেলা সদর।
এবছর শীতের আগমন আশ্বিনের মাঝপথেই । প্রতিদিন রাত ও ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদর ঢেকে যায়, সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সকালে পথঘাট হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। আমন ধানের পাতা আর ঘাসের ওপর ঝড়ছে শিশির কণা। শিশির ভেঙে চাষি ছুটে যান সবুজ ধানের ক্ষেতে। রোদের আলোয় ঘাসের ওপর ঝরে পড়া শিশির বিন্দু চকচক করে ওঠে।
শীতের আগমনী বার্তায় প্রস্তুতিও শুরু করেছে এ এলাকার মানুষ। বস্তাবন্দী রাখা গরম কাপড় বের করতে শুরু করেছে। সন্ধ্যায় ও ভোরে হাঁটা-হাঁটি শেষে জমছে চায়ের আড্ডা। শীতের এই সময়টি উপভোগের সুন্দর সময় বলে মনে করেন অনেকে। তবে দিনের বেলায় ঘটছে শীতের ঠিক বিপরীত।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আশ্বিন মাসের শেষ সময়ে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় ও উত্তরীয় বায়ুর কিছুটা প্রভাব থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে এলে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। বিশেষ করে মৌসুমি বায়ু যখন বাংলাদেশের ওপর আর সক্রিয় থাকবে না তখন হালকা ধরনের শীত পড়বে। আর উত্তরের শেষ প্রান্তে শীতের আমেজ তো দেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে প্রকট। এর মাত্রা আর অনুভূতি থাকে ভিন্নতর, এটা মোটামুটি সকলের জানা।
এদিকে শীত শুরু হতে না হতেই রাস্তার মোড়ে শীতকালীন পিঠার (ভাপা পিঠা) আমেজ শুরু হয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠেই পিঠার দোকানে গিয়ে ভীড় জমাচ্ছেন শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধ। এ যেন ভরা শীতের সকাল।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানায়, এবার শীত একটু ব্যতিক্রম ভাবেই আসছে। হঠাৎ করেই সকালে ঘন কুয়াশা আর রাতে টিপ টিপ বৃষ্টির মতো কুয়াশার শিশির পড়া শুরু করেছে।