ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

সোহাগ হাসান জয়, সিরাজগঞ্জ | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৩:২৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মসজিদ ও বালুমহাল নিয়ে বিরোধের জের ধরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের শাহজাহান প্রামানিকের ছেলে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দুলাল, মো. বাচ্চু মিয়া, মো. দুলাল সরকার, মো. মাসুদ উল্লাহ রতন, মো. রহমত উল্লাহ পান্না, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. বদিউজ্জামান।

এছাড়াও এই মামলা থেকে আইয়ুব আলী ও মো. সেলিম হোসেনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।  

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. মো. আবু বক্কার সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেষপুর গ্রামে মসজিদ ও বালু মহাল নিয়ে আসামিদের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলতাব হোসেনে মুকুলের বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে। এই বিরোধের জেরে ২০১৯ সালের ২৬ জুন রাতে আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা আলতাফ হোসেন মুকুলের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি তার মা রেজিয়া খাতুন দেখে ফেলায় তাকে চাপাতি, ছুরি ও রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং উভয়ের পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শামীম আরা আবুল কালাম আজাদসহ ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। মামলায় ১১ জনের নামে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক আজ এ রায় প্রদান করেন।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে