সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও সেহেরি খেয়ে ১ম রোজা রাখছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৬টি গ্রামের মানুষ।
বৃহস্পতিবার উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়ছড়া, চাঁনপুর, পুরানঘাট, আমতৈল,
রজনীলাইন, মাহারাম গ্রামের শতাধিক পরিবার রোজা শুরু করেন
বুধবার(২২মার্চ)দিন গত রাতে ঐ সব গ্রামের মানুষ রোজা রাখার জন্য সেহরি খেয়েছেন। এই সব পরিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরও উদযাপন করেন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে। তবে কোরবানির ঈদ(ইদুল আজহা) বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে পালন করেন।
আমতৈল গ্রামের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জা কিল দরবার শরীফ এর অনুসারী তারা। তাদের পূর্ব পুরুষরা ওই দরবার শরীফের মুরিদ। তাই সেখানকার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী আমরাও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই রোজা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করি। তবে ঈদুল আযহা সারাদেশের ন্যায় উদযাপন করি। প্রতি বছরের মত এবারও সেহেরি খেয়ে রোজা রেখেছেন।
আমতৈল মধ্য পাড়ার বাসিন্দা মতিউর রহমান জানান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামেও তাদের অনুসারী রয়েছেন। ওই গ্রামেও অন্তত ১০টি পরিবার বৃহস্পতিবার রোজাশুরু করেছেন। তিনি আরও জানান,আমতৈল গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে রোজা ও ঈদ উদযাপনে ভিন্নতা হলেও আমাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ কিংবা হানাহানি নেই।
রজনীলাইন গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া বলেন, আমতৈল, পুরানঘাট, মাহারাম রজনীলাইন, চাঁনপুর গ্রামের অন্তত দু শতাধিক পরিবার তাঁদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে রোজা রাখেন।
বড়দল উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম আকাশ রোজা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতি বছরের মত এ বছরও এসব গ্রামের লোকজন উৎসব মুখর পরিবেশে রোজা রাখার প্রস্তুতি নেয়। গত রাতে সাড়ে ন' টায় আমতৈল মসজিদের যারা রোজা রাখবেন তাদের উদ্দেশ্যে মাইকে সেহেরি সময় জানানো হয়।
বড়দল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া তার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সেহেরি খেয়ে রোজা রেখেছেন জানিয়ে বলেন, ঐসব গ্রামের মসজিদে রোজা রাখার জন্য রাতে মাইকে সেহেরির শেষ সময় জানানোও হয়েছে। এনিয়ে কারো মধ্যে কোনো বিবেদ হয় না।