ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

স্হলবন্দরের চেয়ারম্যান ও বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর) : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৪:০০ অপরাহ্ন | খুলনা
যশোরে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সুমন হোসাইন নামে এক সাংবাদিক। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।
 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ।
 
বাদীর অভিযোগ, তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক। বেনাপোল স্থলবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দেখতে যান। সেখানে গিয়ে ঢালাই কাজের ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তিনি ওই ভিডিও বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে অনিয়মের প্রতিকার চান। একই সঙ্গে অনিয়মের বিষয়ে তার বক্তব্য চান। কিন্তু তিনি সংবাদ প্রকাশে নিষেধ করে বাদীকে বেনাপোল স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে দেখা করতে বলেন। গত ২৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে যান। সেখানে বিবাদী রেজাউল করিম ও জিল্লুর রহমান চৌধুরী হুমকি দিয়ে নিউজ করতে নিষেধ করেন। বাদী অনড় থাকায় মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন তারা। পরে তাকে হত্যারও হুমকিও দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
 
মামলায় আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের আপন জামাই। সেই ক্ষমতায় তিনি নানা ধরণের অপকর্ম করেছেন।
 
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (বর্তমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত) রেজাউল করিম বলেন, সুমনের বিরুদ্ধে বøাকমেইল করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেন। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দেওয়া আছে। এজন্য তিনি মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
 
এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সুমনকে তিনি ডেকে ছিলেন। কিন্তু কোনো চাঁদাদাবি করেন নি। সুমন তার সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেছেন। সাংবাদিক সুমন বিভিন্ন সময় অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তা না দেয়ায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন জিল্লুুর রহমান।