চট্টগ্রামের হাটহাজারী উদালিয়াতে ০৭ বছরের ১ শিশু কন্যাকে ধর্ষণকারী আসামী জাহাঙ্গীর (৪৫)'কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
ভুক্তভোগী ধর্ষিতা ভিকটিম ০৭ বছরের শিশু কন্যা এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেণীর ছাত্রী।
গত মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুর আনুমানিক ৩ টায় তাদের বাড়ির সামনে লবন বিক্রেতা আসলে ভিকটিমের মা তার শিশু কন্যাকে নিয়ে লবন বিক্রেতার কাছে লবন কিনতে যায় এবং ১০ কেজি লবন ক্রয় করে। ভিকটিমের মা তার চাচী শ্বাশুড়ীকে ডাকতে তার শিশু কন্যাকে পাঠায়।শিশুটি জাহাঙ্গীর এর বাড়িতে আসলে ঘরের মধ্যে কোন লোক না থাকায় ধর্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর ভিকটিমকে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে রান্নাঘরে নিয়ে যায় এবং শিশু কন্যাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে মা তার শিশু কন্যা আসতে দেরি হলে ডাকাডাকি করতে থাকলে আনুমানিক ৩ঃ৩০ টায় ধর্ষক জাহাঙ্গীর এর রান্নাঘর হতে ভিকটিম শিশু কন্যা কান্নাকাটি করতে করতে বের হয় এবং তার মাকে উপরোক্ত ঘটনা বর্ণনা করে। ভিকটিমের বাবা তার অসুস্থ্য মেয়েকে চিকিৎসার জন্য হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ওসিসি) তে প্রেরণ করেন এবং বর্তমানে ভিকটিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৩ তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২২ ইং ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ১৩ এপ্রিল আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম(৪৫), পিতা-আমির আহম্মদ, সাং- উদালিয়া, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম’কে তার বসতঘর হতে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে উল্লেখিত ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে।