সিলেট শহরতলির শাহপরাণ কাঁচাবাজারের একটি দোকান দখল করার জন্যে একটি চক্র গত দুই বছর ধরে নানান চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দোকানের মালিকানা দাবি করে একাধিক জাল কাগজপত্রও সৃজন করেছে চক্রটি। ঘটনা নিষ্পত্তি করতে সালিশ বৈঠক হয়েছে একাধিক। প্রকৃত মালিকের পক্ষে রায় দিয়েছেন সালিশানরা। কিন্তু দুর্বৃত্তরা সামাজিক সালিশের রায়কে অমান্য করে দোকানটি দখল করার চেষ্টা করছে। ওই অবস্থায় দোকানের মালিক জয়নাল আহমদ আশ্রয় নিয়েছেন আইনের।
দোকানের মালিক জয়নাল আহমদ জানান, শাহপরাণ কাঁচাবাজারের এক নম্বর গলির তিন নম্বর দোকান ভিটার মালিক পৈত্রিক সুত্রে তিনি নিজে। দোকানটি এক সময় ভাড়া দেয়া হয়েছিল আবদুল মালিকের কাছে। কিন্তু আবদুল মালিকের হাবভাব খারাপ দেখে ভাড়া চুক্তি বাতিল করেন। ফলে আবদুল মালিক তার লোকজন নিয়ে দোকানটি দখল করার চেষ্টা করে। বাজার কমিটি এতে হস্তক্ষেপ করেন। ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষ বিষয়টি সামাজিক বিচারে নিষ্পত্তির জন্যে সালিশনামায় স্বাক্ষর করেন।
বিষয়টি সালিশে পর্যালোচনা শেষে ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সামাজিক বিচারের রায় দেয়া হয়। পর্যালোচনায় সিদ্ধান্ত দেয়া হয় আবদুল মালিক ১৯৯৭ সালে ক্রয় করা যে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে দোকানের মালিক দাবি করেছেন তা সঠিক নয়। এই দলিলটি প্রমাণিত নয়। কারণ স্ট্যাম্পটি ১৯৮৭ সালে ও কার্টিজ ১৯৯৪ সালের। এই স্প্যাম্প ও কার্টিজে আবদুল মালিক যে দাবি করেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে আবদুল মালিক আর কোনো ধরণের বিরোধ সৃষ্টি করলে জয়নাল আহমদ আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন বলে সালিশের সিদ্ধান্তে বলা হয়।
জয়নাল আহমদ জানান, শাহপরাণ গেইট পুরাতন কাঁচাবাজার কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছে। ওই প্রত্যায়ন পত্রে দোকানটির প্রকৃত মালিক জয়নাল আহমদের পিতা ইব্রাহিম আলী বলে জানিয়েছেন। ইব্রাহিম আলী দোকানটি কারো কাছে বিক্রি করেন নাই। ইব্রাহিম আলীর মৃত্যুর পর দোকানটি ভোগদখল করছেন ইব্রাহিম আলীর সন্তানরা। এত কিছুর পরও আবদুল মালিক দফায় দফায় নানান চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। জয়নাল আহমদকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় তিনি অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।