কুমিল্লার হোমনায় চান্দেরচর ইউনিয়নের তাতুয়ারচরে পূর্বশত্রুতার জেরে মোঃ কাউছার (১৬) কে ছুরিকাঘাতে খুনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
নিহত কাউছার (১৬) পিতা - জাহাঙ্গীর মিয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,গত ০২-০২-২০২৫ ইং তারিখ সকাল ১১ ঘটিকায় শায়খ ও ইমন চান্দেরচর ফার্নিচার দোকানের সামনে দিয়ে আলিয়া মাদ্রাসায় যাচ্ছিল এমন সময় নাজমুল তার বন্ধু সাব্বিরকে সাবরী বলে ডাক দেয়।
শায়খ মনে করে তাকে ব্যঙ্গ করে সাবরী বলে ডাক দেয়। এবিষয় নিয়ে কাউসার,কাইয়ূম, নাজমুল ও সাইদুলের সাথে শায়খ এবং ইমনের কাথাকাটাকাটির বিরোধ চলে গত কয়েক দিন যাবত।
এরপর গতকাল শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি চান্দেরচর আলিয়া মাদ্রাসায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের মাঠে শাহাদত ও ইমন গ্রুপের সাথে কাউছার, কাইয়ূম, নাজমুল ও সাইদুলের দেখা হলে সেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের মাঝে পুনরায় কথাকাটাকাটি হয়।
কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হঠাৎ শাহাদত নিহত কাউছারের বুকের উপর বরাবর সুইচগিয়ার ( ছুরি) দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। ঘটনা স্থলে কিশোর গ্যাং ইমনও নিহত কাউছারের বন্ধু কাইয়ূমের পেটে আরেকটি ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সেও আহত হন।
পরে ঘটনাস্থলের লোক জন কাউছার ও কাইয়ূমকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালে কাইয়ূমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর কাউছারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা যাওয়ার পথে সাইনবোর্ড এলাকায় কাউছার মৃত্যুবরণ করেন।
হোমনা সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা সময় মো.কাউছার (১৬) কে নিয়ে আসলে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেই,ক্ষত বেশি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করি।
এবিষয়ে হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাবেদ উল ইসলাম দৈনিক বায়ান্নকে জানান , এস আই সাইফুল ইসলাম সুরতহাল রিপোর্ট রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত দেহ প্রেরণ করে। এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধী গ্রেফতার করা যায়নি। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে খুব শীঘ্রই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।