ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৬ জুন ২০২৪ ০৩:৫০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

 

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

 

টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত বর্তমান সরকারের এটি প্রথম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম বাজেট। পাশাপাশি বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর এটি প্রথম বাজেট।

 

‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’- এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।  

 

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করেছিল সরকার। আসন্ন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জন্য তা ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।  

 

নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।  চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।

 

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অংকে এটি হতে পারে ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।

 

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে অর্থমন্ত্রীর জন্য ৩২৯ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতা তৈরি হয়েছে। অতীতে এত বড় বাজেট বক্তৃতা আর প্রণয়ন করা হয়নি বলে জানা গেছে। তবে এ বিশাল বাজেট বক্তৃতা ৮২ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে পুরোটা পড়তে হচ্ছে না।  

 

তিনি বাজেটের সারাংশ স্লাইডের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করবেন। বরাবরের মতো এবারও বাজেটের প্রথমাংশে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে। থাকবে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথাও। এসবের জন্য দায়ী করা হবে কোভিড পরবর্তী ‘রাশিয়া-ইউক্রেন’ যুদ্ধকে। বলার চেষ্টা করা হবে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রিজার্ভ বাড়বে এবং কমবে মূল্যস্ফীতি।

 

এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়ন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখা, রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বাজেট ঘাটতির অর্থায়ন, উন্নয়ন কর্মসূচি চলমান রাখাসহ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মতো নানামুখী চাপের মধ্যে এ “স্মার্ট ইকোনমির” বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার।