ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথার বিরুদ্ধে ২৫৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ৩৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালে জেনিথ এবং রুপালী ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইন্সুরেন্স করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে দুইটি কোম্পানীতে সর্বমোট ২৫৫ জনের বাধ্যতামূলক ইন্সুরেন্স করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথা। যার প্রতিবছর কিস্তি নেওয়া হয় প্রায় আট হাজার টাকা। প্রথম কিস্তিতে প্রতি জন মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে সর্বমোট ২০ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিথা গ্রহণ করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, পর পর দুই বছরের টাকা সর্বমোট ৪০ লক্ষ আশি হাজার টাকা তিনি গ্রহণ করে। তিনি প্রত্যেকের এক বছরের প্রিমিয়াম ওই কোম্পানীর নিকট জমা দেন। কিন্তু পরবর্তী বছরের ২০ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন এবং প্রথম বছরের জমা দিয়ে প্রিমিয়াম থেকে ৪০% হারে ৮ লক্ষ ষোল হাজার টাকা ওই ইন্সুরেন্স কোম্পানী থেকে লভ্যাংশ হিসেবে লাভ করে। পরবর্তীতে হিসাব করে দেখা যায়, তার লভ্যাংশসহ ২৮ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে তিনি আত্মসাৎ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিথা ওই কোম্পানী দুটির কাছে ইন্সুরেন্সের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা জমা না দেওয়ায় সকল সদস্যপদ বাতিল হয়ে গেছে বলেও অভিযোগে জানানো হয়েছে।
অভিযোগকারীদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম বলেন, ‘ইন্সুরেন্স করতে মুক্তিযোদ্ধাদের বাধ্য করেন মনোয়ার হোসেন মালিথা। তিনি প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ২০১৪ সালে যারা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, শৈলকুপা থেকে ৮১২ জনের একটি তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তাদের প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়েছিলেন কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথা। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় ৯৬ জনের নাম আসে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা বানানোর নামে প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।’
এদিকে অভিযোগকারী অন্য বীরমুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই’র সঙ্গে মনোয়ার হোসেন মালিথার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এছাড়া জেলা-উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে তার সখ্যতা থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি।রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব দেখিয়ে গত প্রায় ৯ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনও হতে দেননি। তারা আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপজেলা শহরের হল মার্কেট এলাকায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন ২০১৯ সালে উদ্বোধন হলেও তার পরদিন থেকেই তালাবদ্ধ আছে। এসবের জন্যও তার ষড়যন্ত্র রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি। আমরা এসবের সঠিক বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে শৈলকুপা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিথার কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে সাবেক কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত শেষে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালে জেনিথ এবং রুপালী ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইন্সুরেন্স করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে দুইটি কোম্পানীতে সর্বমোট ২৫৫ জনের বাধ্যতামূলক ইন্সুরেন্স করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথা। যার প্রতিবছর কিস্তি নেওয়া হয় প্রায় আট হাজার টাকা। প্রথম কিস্তিতে প্রতি জন মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে সর্বমোট ২০ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিথা গ্রহণ করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, পর পর দুই বছরের টাকা সর্বমোট ৪০ লক্ষ আশি হাজার টাকা তিনি গ্রহণ করে। তিনি প্রত্যেকের এক বছরের প্রিমিয়াম ওই কোম্পানীর নিকট জমা দেন। কিন্তু পরবর্তী বছরের ২০ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন এবং প্রথম বছরের জমা দিয়ে প্রিমিয়াম থেকে ৪০% হারে ৮ লক্ষ ষোল হাজার টাকা ওই ইন্সুরেন্স কোম্পানী থেকে লভ্যাংশ হিসেবে লাভ করে। পরবর্তীতে হিসাব করে দেখা যায়, তার লভ্যাংশসহ ২৮ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে তিনি আত্মসাৎ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিথা ওই কোম্পানী দুটির কাছে ইন্সুরেন্সের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা জমা না দেওয়ায় সকল সদস্যপদ বাতিল হয়ে গেছে বলেও অভিযোগে জানানো হয়েছে।
অভিযোগকারীদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম বলেন, ‘ইন্সুরেন্স করতে মুক্তিযোদ্ধাদের বাধ্য করেন মনোয়ার হোসেন মালিথা। তিনি প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ২০১৪ সালে যারা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, শৈলকুপা থেকে ৮১২ জনের একটি তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তাদের প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়েছিলেন কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথা। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় ৯৬ জনের নাম আসে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা বানানোর নামে প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।’
এদিকে অভিযোগকারী অন্য বীরমুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই’র সঙ্গে মনোয়ার হোসেন মালিথার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এছাড়া জেলা-উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে তার সখ্যতা থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি।রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব দেখিয়ে গত প্রায় ৯ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনও হতে দেননি। তারা আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপজেলা শহরের হল মার্কেট এলাকায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন ২০১৯ সালে উদ্বোধন হলেও তার পরদিন থেকেই তালাবদ্ধ আছে। এসবের জন্যও তার ষড়যন্ত্র রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি। আমরা এসবের সঠিক বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে শৈলকুপা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিথার কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে সাবেক কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত শেষে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।