ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘দেশে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৮:৩১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গ্রিড ভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট।

 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফ এ বিষয়টি জানতে চান।

 

প্রশ্ন উত্তর পর্বে নসরুল হামিদ আরও বলেন, এ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকেও। তবে গ্রিড ভিত্তিক স্থাপিত কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে উৎপাদনে সক্ষম ৪৩ শতাংশ বিদ্যুৎ। যা প্রায় ১১ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আসে ১৭ শতাংশ। যা ৪ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট।

 

তিনি বলেন, ফার্নেস অয়েল থেকে উৎপাদন হয় ৬ হাজার ৪৯২ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ২৪ শতাংশ। ডিজেল ভিত্তিক ৮২৬ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ৩ শতাংশ। হাইড্রো ২৩০ মেগাওয়াট বা সক্ষমতার এক শতাংশ। এছাড়া অনগ্রিড সৌরবিদ্যুৎ ৪৫৯ মেগাওয়াট, যা মাত্র ২ শতাংশ। এছাড়া আমদানি করা হচ্ছে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বা ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ।

 

বিদ্যুতের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়। আগামী গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বলে ধারণা করছে মন্ত্রণালয়।

 

এসময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।