ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের শোক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:২৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ১নং সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ শোক জানানো হয়।

এছাড়া দেশের রাজনীতির এই অগ্নকন্যার  প্রয়াণে পৃথক পৃথকভাবে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও  আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও। 

এক শোক বার্তায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ ও ২০২৪ সালে তাকে সংসদ উপনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা ছিল মতিয়া চৌধুরীর। আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্নিঝরা বক্তৃতার জন্য তাকে বলা হতো অগ্নিকন্যা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা চিরস্মরণীয়। তার চলে যাওয়া দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

আরেক শোক বার্তায় আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সফল কৃষিমন্ত্রী, অগ্নিকন্যা খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যু বাংলাদেশর রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। গণতন্ত্র, রাজনীতি ও সমাজ উন্নয়নে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আমি তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। 

মতিয়া চৌধুরী বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। 

বাম রাজনীতি দিয়ে ছাত্র জীবন শুরু করলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন মতিয়া চৌধুরী । এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সামরিক সরকারের সময় কারাবরণ করেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অগ্নিকন্যা হিসেবে পরিচিত মতিয়া চৌধুরীর জন্ম পিরোজপুরে ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক প্রয়াত বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।

মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬০–এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।