ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ন্যূনতম ২ বছর হওয়া উচিত, মত সম্পাদকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:২৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ন্যূনতম দুই বছর হওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকরা।

 

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সম্পাদকরা এ মত দেন।

 

মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ জন সম্পাদক অংশ নেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ে তারা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার যেন যৌক্তিক সময় পর্যন্ত থাকে। এ যৌক্তিক সময়টা আসলে কতটুকু? এ বিষয়ে ড. ইউনূস দেশের শীর্ষ সম্পাদকদের কাছে জানতে চান।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে সম্পাদকদের বক্তব্য তুলে ধরে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বিভিন্ন রকম কথা এসেছে, সর্বনিম্ন যে সময়টা এসেছে, সর্বনিম্ন দুই বছর যেন এ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হয়। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন।

 

শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে সম্পাদকদের বেশির ভাগই বলেছেন, যেসব এজেন্ডার বাস্তবায়ন বা যে কাজটা অন্তর্বর্তী সরকার করবে, তা-ই আসলে নির্ধারণ করবে এ সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ প্রসঙ্গে সম্পাদকদের বক্তব্যে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেসব তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেক কথা এসেছে, সংবিধান সংশোধন, সংবিধান নতুন করে লেখা, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন, পুলিশের জন্য কমিশন, পুলিশকে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে। এই নির্বাচন কমিশনকে পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।

 

শফিকুল আলম জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এটি মস্ত বড় সুযোগ, বাংলাদেশের জন্য, আমাদের সবার জন্য। রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য। বাংলাদেশকে নতুন শেখরে নেওয়ার জন্য। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, তাকে কাজে লাগাতে হবে।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের দোষ-ত্রুটি নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের বলেছেন, আপনারা লিখবেন, প্রচুর লিখুন, আপনারা জানান। আমাদের যদি দোষ-ত্রুটি থাকে, সেগুলো নিয়েও আপনারা বলুন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে শুনতে চাই।

 

প্রেস সচিব বলেন, ড. ইউনূস বারবার বলেছেন, তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং ভাইব্রেন্ট মিডিয়া দেখতে চান।

 

শফিকুল আলম জানান, সম্পাদকরা বলেছেন, মিডিয়াতে যেসব কালা কানুন আছে, সেগুলো যাতে বাদ দেওয়া হয়; সংশোধন করা হয়।

 

সবাইকে স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

 

মিডিয়া কমিশন করার প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যাতে কোনো সাংবাদিক কোনো অসুবিধায় না পড়েন, সে বিষয়ে একটা মিডিয়া কমিশন করার প্রস্তাব এসেছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।