প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী। এতে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানী। আরও বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক তং, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দর্শন ছিল সুদূর প্রসারী। তিনি শান্তির পক্ষে সুদৃঢ় ভূমিকা পালন করেছিলেন। শান্তি চাইতেন বলেই আমার দেখা নয়া চীন বইতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘যেই শান্তি চাক, সেটা আমেরিকা হোক, চীন হোক, রাশিয়া হোক, আমরা তার সাথে আছি’।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে সুস্পষ্টভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। দুনিয়ায় যে কোনো স্থানে শান্তির পক্ষে ছিলেন তিনি। আমরা পাহাড়ে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করেছি। একই সঙ্গে বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতির সূচনা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। একই সঙ্গে সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মানবতার জন্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা শান্তির জন্য জবাবদিহিমূলক বিশ্ব চাই। জবাবদিহিমূলক বিশ্ব গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে যোগদানকারী অতিথিদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামাজিক বৈষম্য রোধে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কটও উঠে এসেছে।
সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক তং বলেন, বাংলাদেশকে প্রথম দিকে স্বীকৃতিদানকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ শান্তির পথিকৃৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির সংস্কৃতির সূচনা করেছেন। আগামীতে আমরা সারা বিশ্বেই শান্তির বার্তা দিতে চাই।
শনিবার থেকে ঢাকায় শুরু হয় দুই দিনব্যাপী বিশ্ব শান্তি সম্মেলন। ওই হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫৯ জন প্রতিনিধি সশরীরে যোগ দেন। আর ৪০ জন প্রতিনিধি ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। রোববার এ সম্মেলন সম্পন্ন হয়। শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।