ঢাকা, শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অবরোধে আটকা পড়েছে ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ ০২:১৪:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রেলওয়ের অস্থায়ী আউটসোর্সিং শ্রমিকরা সকাল থেকে রাজধানীর কাওরান বাজারে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। এতে রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টার পর থেকে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। টানা তিন ঘণ্টা অবরোধে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনও ট্রেনই ছেড়ে যেতে পারেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রী।

 

ঢাকা থেকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ১১টায় ছাড়ার কথা ছিল। বেলা ১টা হলেও এখনও ছেড়ে যেতে পারিনি। জয়ন্তিকার মতো কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, একতা এসময়ের সকাল থেকেই আটকে আছে স্টেশনে।

 

 

এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন না ছাড়ায় ভোগান্তি পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। সিলেটগামী জয়ন্তিকা একজন যাত্রী সেলিম মিয়া বলেন, ‘যানজট এড়িয়ে ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবো বলে ট্রেনে যাচ্ছি। অথচ নির্ধারিত সময়ে চেয়ে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেলো, ছাড়ার কোনও খবর নেই। শুনেছি কোথাও কিসের অবরোধ দিয়েছে, সকল ভোগান্তি আমাদের।’

 

 

পাশের আসনের আরেক যাত্রী বলেন, ‘কখন ছাড়বে, সেটাও বুঝতে পারছি না। হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দিয়ে কিসের অবরোধ!’

 

এ প্রসঙ্গে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারোয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রেললাইন আটকে বিক্ষোভের কারণে সকাল থেকে আমাদের সব ট্রেন আটকা পড়েছে। সকাল ১০টার পর একটি ট্রেনও স্টেশন থেকে ছেড়ে যেতে পারেনি। এখনও শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। এটি আরও দীর্ঘায়িত হলে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।’

 

এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে এফডিসি সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। এ ঘটনায় কাওরান বাজারে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস এক্সপ্রেস আটকা পড়ে।

 

শ্রমিকরা জানান, বিজ্ঞাপন দিয়ে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। যারা ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে রেলে চাকরি করছেন। চুক্তি ছিল ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে তাদের স্থায়ীকরণ করা হবে। কিন্তু আজও রেল কর্তৃপক্ষ তাদের স্থায়ী করেনি। বরং তাদের বাদ দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন করে কর্মচারী নিয়োগের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয় তারা।

 

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রেলপথ ছাড়বেন না বলেও জানান বিক্ষোভকারীরা।