ঢাকা, রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ই পৌষ ১৪৩১

নিরাপত্তার অজুহাতে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলকে সংশ্লিষ্ট করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

মারুফ কামাল খান, ফেসবুক থেকে | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:০৪:০০ অপরাহ্ন | গণমাধ্যম
ছবি: সংগৃহীত

প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড হচ্ছে একজন পেশাদার সাংবাদিকের জন্য সরকারের স্বীকৃতির সনদ। এ কার্ড দেখিয়েই সচিবালয়ে ঢোকা যেতো, একথা সত্য। তবে এটা একটা রীতি বা রেওয়াজ। আসলে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড সচিবালয়ের প্রবেশপত্র নয়। এর জন্য আলাদা পাস বা অনুমোদনপত্র নেওয়া বিধিসম্মত। ব্যাপারটা সচিবালয়ের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িতরাও জানে বলে মনে হয় না।

নিরাপত্তার অজুহাতে সচিবালয়ে প্রবেশাধিকারে কড়াকড়ি আরোপ করতে গিয়ে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলকে সংশ্লিষ্ট করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই কার্ড বাতিল করে নতুন করে ইস্যুর সিদ্ধান্তটা আলাদা প্রসঙ্গ। দু'টিকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট রেজিমে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে অতি উলঙ্গ দলবাজি হয়েছে। সেটা শোধরানো দরকার। তবে এ কার্ড বাতিল বা স্থগিতের এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়, তথ্য অধিদপ্তরের।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তরফ থেকে যে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে সেটার ভাষাও রীতিমত আপত্তিকর। এই মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির শেষ লাইনে বলা হয়েছে, এই আদেশ জারি করা হলো।

আদেশ মানে? এই আমলা ও ভূতপূর্ব আমলাদের মাইন্ডসেট একটুও বদলায় নি। পাব্লিক সার্ভেন্ট হয়েও ওরা এখনো হুকুম দিয়েই যাচ্ছে। যামানা যে বদলে গেছে সেটা ওরা এখনও বুঝতেই পারে নি। মানসিকতা না বদলানো পর্যন্ত এদের দিয়ে রাষ্ট্র কাঠামো বদলানো সত্যিই অসম্ভব।

মারুফ কামাল খান: সিনিয়র সাংবাদিক। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব