ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

আরাফার দিনের ফজীলত

মফতী মুখলিছুর রহমান সিলেটী | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৮ জুলাই ২০২২ ০৮:১৮:০০ অপরাহ্ন | মতামত

হিজরী পঞ্জিকার ১২তম মাস হলো, "জিলহজ" মাস। ক্বোরআন ও হাদীসে এই মাসের প্রথম দশকের বিশেষ ফজীলত ও মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে।

 

প্রথম দশকের " ৯তারিখ " হচ্ছে অন্যতম। সে দিনটিকে হাদীসে "ইয়াওমে আরাফা"তথা আরাফার দিন বলা হয়েছে। জিলহজ মাসের " ৯তারিখের"  দিনটিকে একটি বিশেষ কারণে "ইয়াওমে আরাফা " নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। (আত্তা'রীফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ:পৃ:৫৫৮)

 

সুতরাং হাদীস শরীফে বর্ণিত " ইয়াওমে আরাফা" দ্বারা জিলহজের "৯তারিখই" উদ্দেশ্য.অতএব, আরাফার দিনের ফজীলত অর্জনের জন্য সকল দেশের অধিবাসীগণ স্ব স্ব দেশের তারিখ মোতবেক জিলহজ মাসের "৯ তারিখে" আরাফার রোজা রাখবেন। তথা যে দেশে যখন ৯ জিলহজের দিন আসবে সে দেশের অধিবাসীগণ তখনই আরাফার দিনের রোজা রাখবেন। (তিরমিযী শরীফ:৩/৪৯.হাদীস নং:৬৯৩)

 

যেমন নামাজ, রোজা, ঈদ, ক্বোরবানী ও শবেবরাত, আশুরা,আরো অনেক আমল বিশ্বের সকল মুসলমান আপন আপন দেশের তারিখ ও সময় অনুযায়ী আদায় করে থাকেন।

 

সৌদীআরবের তারিখ অনুযায়ী ইবাদত-বন্দেগী করার কথা ক্বোরআন- হাদীসের কোথাও বলা হয়নি। তাই নিজ দেশে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করেই সকল ইবাদতের মতো " ৯জিলহজ " তথা "ইয়াওমে আরাফা"এর রোজা ও রাখতে হবে। মুসলিম শরীফে হযরত ক্বাদাতা রা.থেকে বর্ণিত:রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম  বলেন,"আমি প্রত্যাশা করি যে,আল্লাহ তাআলা আরাফার দিন রোজা রাখার দ্বারা সামনের এবং পিছনের এক বছরের(ছগীরা) গুনাহ মাফ করে দিবেন"। (মুসলিম শরীফ:হাদীস নং:১১৬২)

 

হাদীসে যেহেতু আরাফার দিন রোজা রাখার ফজীলত বর্ণনা করা হয়েছে এবং রোজা রাখার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে তাই সকল মুসলমান আরাফার দিন তথা জিলহজের ৯তারিখ রোজা রাখার প্রতি যত্নবান হবো ইনশাআল্লাহ.

 

 

লেখক: মুফতী ও মুহাদ্দিস

জামিয়া আরাবিয়া আহসানুল উলূম

৭০/১আদাবর,শ্যমলী,ঢাকা-১২০৭।