ঢাকা, শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ইঁদুরে কেটেছে ৬০ লাখ টাকার এক্স-রে মেশিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৩ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:৩১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
 
ঝিনাইদহ সরকারি শিশু হাসপাতালের জন্য আনা এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। বহুদিন পড়ে থাকায় ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ২০০৮ সালে শিশু হাসপাতালের জন্য সরকার মেশিনটি বরাদ্দ দেয়। ওই সময় মেশিনটি আধুনিক ছিল। কিন্তু ইঁদুরে মেশিনের তার কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে বলে জানান হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের দায়িত্বে থাকা শফিকুল ইসলাম।
 
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০০৮ সালে লিসটেম-৫০০ মডেলের একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন দেয় সরকার। শিশুদের রোগ নির্ণয় ও সুচিকৎসার জন্য এক্স-রে মেশিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছয় বছর শিশু হাসপাতালের স্টোরে বাক্সবন্দি থাকার পর বহু চিঠি চালাচালি করে ২০১৪ সালে মেশিনটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। 
 
হাসপাতালে আনার পর দেখা যায়, মেশিনের মধ্যে ইঁদুর ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ তার ও কম্পিউটারাইজড সিস্টেম নষ্ট করে দিয়েছে। মেরামত করে চালানোর চেষ্টা করা হলেও মেশিনটির সব অংশ সচল করা যায়নি। ফলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে সাত বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে মেশিনটি। 
 
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী জুনে বরাদ্দ এলে এক্স-রে মেশিনটি মেরামত করা হতে পারে।
 
হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের দায়িত্বে থাকা শফিকুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে শিশু হাসপাতালের জন্য সরকার মেশিনটি বরাদ্দ দেয়। ওই সময় মেশিনটি আধুনিক ছিল। কিন্তু ইঁদুর মেশিনের তার কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। মেশিনের ফ্লসকপি সাইট নষ্ট হলেও রেডিওগ্রাফি সাইটটি সচল ছিল। মেরামতের অভাবে এখন পুরোটাই অচল হয়ে আছে। বরাদ্দ পেলে আগামী জুনে মেরামত করার চেষ্টা করা হবে। লিসটেম-৫০০ মডেলের মেশিনটির মূল্য আনুমানিক ৬০-৭০ লাখ টাকা হতে পারে।
 
ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের প্রধান ডা. আলী হাসান ফরিদ জানান, তিনি ২০২১ সালে যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। তবে শিশু হাসপাতালের জন্য এক্স-রে মেশিনসহ বহু যন্ত্রপাতির চাহিদা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আছে বলে তিনি জানান।
 
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, শিশু হাসপাতালটি চালু না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি সেখানে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। সেখানেই মেশিনের বিভিন্ন সাইট নষ্ট হয়ে যায়। এরপর মেশিনটি সদর হাসপাতালে আনা হয়।
 
তিনি দাবি করেন, মেশিনটি চালু ছিল। আনুমানিক এক বছর আগে অকার্যকর হয়ে পড়ে। তিনি জানান, মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে আশা করা যায় সচল হবে।