
মাঠ প্রশাসন যাতে ইসির নির্দেশনা প্রতিপালন করে সে বিষয়ে কঠোর তাগিদ দেওয় হবে বলে জানিয়েছেন নিরবাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলছেন, ইতোপূর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, এ মাঠ প্রশাসনকে দিয়েই নির্বাচনগুলো হয়েছে। সুতরাং, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রেসার থাকবে না; কোনো ধরনের প্রভাব থাকবে না।
রোববার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ কাযালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে আজ থেকে তিনদিন ব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হয়েছে।প্রথমবারের মতো ডিসি সম্মেলনে ইসিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ সম্মেলনে ডিসিদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, যে কোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন উত্তমভাবে করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে জেলাপ্রশাসকদের। একটা উত্তম নির্বাচন করতে চাচ্ছি আমরা এবং যে কোনো মূল্যে একটি করতে হবে- এ মেসেজটি ডিসিদের দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা।
দল নিরপেক্ষ রিটার্নিং অফিসার বা জেলাপ্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কাজে সহায়তা করতে বাধ্য। যখন তফসিল ঘোষণা করা হবে তখন ইসি মনে করলে যে নিরপেক্ষ জেলাপ্রশাসককে পদায়ন প্রয়োজন, সে বিষয়ে ইসি কঠোরভাবে সে সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয় নি। প্রয়োজনে কমিশন এ বিষয়ে পাইলটিং করতে পারে।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে অনেক দল।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ বিষয়ে বলার সময় এখনও আসে নি। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা বলতে আরও সময় লাগবে।
ঐকমত্য কমিশনের কাছে ইসির তরফ থেকে এখনও কোনো চিঠি দেওয়া হয় নি বা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এমন তথ্য নেই এ কমিশনারের কাছে বেেলউল্লেখ করেন তিনি।
আইন পরিবর্তনের জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়াটি একটা জটিল প্রক্রিয়া।ৃসেক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন সংশোধন হলে আমরা (সীমানা নির্ধারণে) ব্যবস্থা নেবো। এক্ষেত্রে প্রশাসিনক ব্যবস্থাপনার সুবিধা, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, জনসংখ্যার বিষয়. ভৌগলিক অবস্থা, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখে তা করা হবে।”