বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের দশম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতোদিন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিলো ৩০ বছর। এটিকে ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত খসড়ার ওপর আলোচনার মাধ্যমে উক্ত অধ্যাদেশটি অনুমোদন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকুরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতা বহির্ভূত সকল সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে।
স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন- সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে।
প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।"
এছাড়া, এ অধ্যাদেশের আলোকে 'সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮'-এর ধারা ৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় 'বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা। বিধিমালা, ২০১৪' পুনগঠনপূর্বক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিন বার অবর্তীর্ণ হতে পারবে- এরূপ বিধি সংযোজন করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত সভা বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।