প্রবাদ আছে ‘অতি সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট’। চীনের হাংজুতে চলতি এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি কর্মকর্তা গেছেন ঝাঁকেঝাঁকে। কারো সেখানে কাজ আছে, বেশিরভাগের নেই। রীতিমতো সরকারি অর্থে ভ্রমণের মহোৎসব। সম্ভাবনাহীন ডিসিপ্লিন পাঠিয়ে কর্মকর্তাদের পাল্লা ভারি করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
কারাতে দল কেন গেমসে পাঠালো, সেই সমালোচনা আগে থেকেই ছিল। সেই কারাতে থেকেই বাংলাদেশ পেলো বড় লজ্জা। খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কারাতে দল আলোচনায় আসতে না পারলেও আলোচনায় এসেছে দেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে। সময়মতো ভেন্যুতে পৌঁছতে না পারায় পুরুষ ব্যক্তিগত কারাতে ইভেন্টে অংশই নিতে পারেননি মো. হাসান খান।
খেলা ছিল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮ টায়। জানা গেছে, গেমস ভিলেজ থেকে প্রতিযোগিতার ভেন্যুতে নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে গেলেও ধরতে পারেনি কারাতে দল। অথচ এই দলে ৫ খেলোয়াড়ের সঙ্গে অফিসিয়াল হয়ে গেছেন ফেডারেশনের দুই সহসভাপতি ইকবাল হোসেন (ম্যানেজার) ও মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু (কোচ)।
মো. হাসান খানকে নিয়ে কর্মকর্তারা যখন ভেন্যুতে পৌঁছান, তখন খেলা শেষ। নারী কারাতেকা নুমে মারমার সৌভাগ্য তার ইভেন্ট পরে ছিল বলে তিনি খেলতে পেরেছেন। ৮ জন প্রতিযোগির মধ্যে অষ্টম হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে হাংজুতে অবস্থানরত বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, ট্রেজারার ও বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের সেফ দ্যা মিশন অভিজিত কুমার সরকার, উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, সদস্য আসাদুজ্জামান কোহিনুর এবং খেলোয়াড় মো. হাসান খানের হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন কারাতের ফলাফল গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে। তবে নুমে মারমার পরাজয়ের খবর সরবরাহ করলেও মো. হাসান খান যে খেলতেই পারেননি সে বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেনি।
দলের কোচ মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু রাতে চীনের হাংজু থেকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের সকাল সাড়ে ৮ টায় ভেন্যুতে গিয়ে রিপোর্ট করার কথা ছিল। আমরা ভিলেজের নিচে নেমে দেখলাম হাতে সময় আছে। তাই নাস্তা খেয়ে নিলাম। এরপর রওয়ানা দেই। সোয়া ৮ টায় গাড়ি ছাড়ে ভিলেজের সামনে থেকে। ভেন্যুতে পৌঁছাই ৮ টা ৩৫ মিনিটে। গিয়ে দেখি হাসান খানের ইভেন্টের এন্ট্রি ক্লোজ করে দিয়েছে। নুমে মারমার খেলা ছিল পরে। তাই তার এন্ট্রি করে খেলাতে সমস্যা হয়নি। আমরা যদি ভিলেজ থেকে আগের গাড়ি ধরতে পারতাম তাহলে সমস্যা হতো না।’