শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে ২৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা, যা অতীতেও ঘটেছে এবং তখনও এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এসআই অব্যাহতির পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই। অতীতে এর থেকেও বেশি প্রশিক্ষণার্থীকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সারদা পুলিশ একাডেমি ভালোভাবে বলতে পারবে। এরকম শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা কোনো নতুন বিষয় নয়। নতুন সার্কুলার অনুযায়ী দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল মাসুদূর রহমান ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন যে, এই ২৫০ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১ অক্টোবর প্যারেড মাঠে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের প্রবেশনারি এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন চলাকালে নাশতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পর কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, প্যারেডে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের নাশতা পরিবেশন করা হলেও অনেকেই তা না খেয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। এসময় কিছু প্রশিক্ষণার্থী মাঠ ছেড়ে নিজ ব্যারাকে ফিরে যান, যা পুরো প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এ ঘটনার পরই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং একাডেমির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "কোনো আন্দোলনের পেছনে যারা উসকানি দেয়, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় অনুসন্ধান করতে হবে। জামিনে মুক্ত থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যেন পুনরায় অপরাধে জড়াতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।"
এই ঘটনার পর সারদা একাডেমির প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়েনি এবং নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে একাডেমির প্রশাসন।
বায়ান্ন/এএস