পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোসা. শাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
ক্লাব পরিচালনায় কর্মরত শিক্ষকরা গত মঙ্গলবার জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ৬টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব রয়েছে। প্রতিটি ক্লাবে ৩০ জন করে মোট সংখ্যা ১৮০জন শিক্ষার্থী রয়েছে । কিশোর- কিশোরীদের জন্য সংগীত, আবৃত্তি ও জেন্ডার প্রোমোটর বিষয়ে রয়েছে পৃথক পৃথক শিক্ষক রয়েছেন। সপ্তাহে ২দিনশুক্র ও শনিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা ক্লাস চলে। প্রতি শিক্ষার্থী জন্য নাস্তা বাবদ ৩০ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও নানা অজুহাতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কিশোর -কিশোরীদের ১৫ জনকে ১০টাকা করে দিয়ে সমন্বয় করতে বলেন।বরাদ্ধের চেয়ে এত কমটাকা না নিতে চাইলে তিনি শিক্ষকদের চাকরী থেকে বরখাস্ত করার হুমকী দেন। তাছাড়া তিনি শিক্ষকদের ইউনিয়ন থেকে সপ্তাহে ২-৩দিন তার অফিসে নিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, কিশোর-কিশোরী ক্লাব শুধু নামেই চলছে। এখানে কোনও উপকরণ নেই। তাছাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা হিসাবে ৩০ জনের প্রতি ক্লাসে ৯০০ টাকার পুষ্টিকর নাস্তা দেওয়ার বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম ১০ টাকা দেন যা দিয়ে নামমাত্র নাস্তা দেওয়া হয়। যে কারণে ধীরে ধীরে প্রতিটি কেন্দ্রে কিশোর-কিশোরীর উপস্থিতি কমে গেছে।
এ ব্যাপারে মাধবখালী কিশোর-কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তি শিক্ষক সুমী আক্তার বলেন, গত জুন মাসে আমার ৩০জন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও তিনি ১০ টাকা হারে ১৫জনের নাস্তার টাকা দিয়েছেন। এত অল্প টাকা দিয়ে কিভাবে নাস্তার খরচ মিটাবো জানতে চাইলে তিনি ম্যানেজ করতে বলেন।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোসা. শাহিনুর বেগম, এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হননি। তিনি বলেন- অফিসে এসে কথা বলবো।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ( অতি.দা) মোসা. শিরিন সুলতানা বলেন, মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিক্ষকরা নাস্তা টাকা কম দেয়াসহ নানা অভিযোগ উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।