ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নিখোঁজ অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষকের দিকে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : রবিবার ২০ নভেম্বর ২০২২ ১২:১৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর


জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের প্রিতম্বরবশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোছাঃ ইন্তি খাতুন (৭) স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সময় নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করেন  ছাত্রীর পরিবার। সন্দেহ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ কয়েকজনের দিকে।

নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী ইন্তি খাতুনের পিতা মোঃ ইমদাদুল শেখ  প্রিতম্বরবশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে  কুমারখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে ইমদাদুল শেখ উল্লেখ করেন, " আমার মেয়ে মোছাঃ ইন্তি খাতুন (৭) প্রিতম্বরবশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে  প্রতিদিন বেলা ১১ টার সময় স্কুলে যায়। এবং স্কুল ছুটি হলে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরে আসে। ১৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টার সময় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী আমার মেয়ে ইন্তি খাতুন স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরে না আসলে আমি মেয়েকে খোজাখুজি শুরু করি। এক পর্যায়ে তার স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন বেলা ১.০০ টার সময় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে আপনার মেয়ে কে নিয়ে যায়। তখন অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে জানান তাকে চিনি না। প্রধান শিক্ষক হয়ে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে শিশু বাচ্চাকে যেতে দিলেন এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।"

এ বিষয়ে ইন্তির পিতা ইমদাদুল শেখ জানান, "আমার মেয়েকে প্রিতম্বরবশী সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ তার সহকারি আরো দুইজন সহকারি শিক্ষিকা সুস্মিতা রানি রায় ও অফিস সহকারী তৌহিদ উজ্জামান মিলে কিছু একটা করেছে। থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করছে। দ্রুত এদের আটক করে জিজ্ঞাসা করলে আমার মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব। "

কুমারখালি থানা ইনচার্জ সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানাগেছে, স্কুলের অফিস সহকারী তৌহিদ উজ্জামান ইন্তিকে একজন মহিলার হাতে তুলেদেয়। এটা অপহরণ না অন্য কিছু সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান  ও সহকারী শিক্ষিকা সুস্মিতা রানি রায় এর দায় এড়াতে পারেন না।"

প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সরেজমিনে ইন্তির স্কুল ও গ্রামে গিয়ে পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা হলে জানা যায়, ইন্তির মাত্র তিন মাস বয়সে মা বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর  ইন্তি তার পিতা ও দাদির কাছে বড় হচ্ছিলো। এখন ইন্তি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর)  স্কুল থেকে হারিয়ে যায়। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা। স্কুলে যদি কোন ছাত্র ছাত্রী নিরাপদ না হয় তাহলে এই স্কুলের উপর কেউ আস্থা রাখবেনা। ঘটনার সাথে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছেন এলাকাবাসী। তবে কেউ কেউ মনে করছেন ইন্তির মা তাকে নিয়েও যেতে পারেন। ঘটনা অপহরণ বা অন্য কিছু যাইহোক স্কুল থেকে একটি শিশু হারিয়ে যাবে শিক্ষকদের সহয়তায় সেটা কাম্যনা। ইন্তিকে দ্রুত উদ্ধার ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন সাধারন মানুষ।