ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় তিন যুবকের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ ০৯:৩৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর


কুষ্টিয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে তিনজনতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ (বৃহস্পতিবার) ২৬ জানুয়ারি দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম রায় প্রদান করেন। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর এলককার খন্দকার হামিদুজ্জামান মলিনের ছেলে খন্দকার মিহিরউজ্জামান, একই এলাকার ইউসুফ হোসেনের ছেলে পারভেজ হোসাইন সৌরভ,কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার বাড়াদি বানিয়াপাড়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সাজ্জাদুল বারী সবুজ। নাঈমুর সাদিক পার্থ নামে অপর একজনকে বেকসুর খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত। রায় প্রদানের সময় সকল আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতা ও প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে কুষ্টিয়া শহরের কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের মন্ডল ফিলিং স্টেশনের উত্তর পাশে মাঠে মোস্তাফিজুর রহমান কর্নেলকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুর রহমান বাবু বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত মোস্তাফিজুর রহমান কর্নেল পূর্বমজমপুর এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, পূর্বশত্রুতা ও প্রেমঘটিত বিষয়ের জেরে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

নিহত মোস্তাফিজুর রহমান কর্ণেল'র বিরুদ্ধে ২০০৩ সালে শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার আলমগীর হোসেন কে হত্যা, সাইকেল,টাকা ছিনতাই সহ জানা অভিযোগ ছিলো বলে জানান এলাকাবাসী।