আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খুনি জিয়াউর রহমানের হত্যার পর থেকেই মূলত খালেদা জিয়া নেতা। খালেদা জিয়ার ডাকে বাংলাদেশে সরকারের পতন হবে না। অতীতেও যেমন সরকারের পতন হয় নাই, এখনও হবে না। সরকারের পতন করতে চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। জনগনের দায়িত্ব, জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে সরকারের পতন হবে কিনা। বেগম খালেদা জিয়া মুখে কালিমা মেখে পরাজয়ের গ্লানি মাথায় নিয়ে গুলশানের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল। দূর্নীতির কারণে তার জেল হয়েছে। জেলে এখনও থাকার কথা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতই তার হৃদয়, সমুদ্রের মতো বিশাল, আকাশের মতো উদার মন। তাই ক্ষমার আলোকে খালেদা জিয়া এখন বাড়িতে রয়েছে।
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নে সোমবার (৩ অক্টোবর) রাতে সার্বজনীন পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এদেশে স্বৈরাচার এরশাদ দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে। ধারা একই, ‘৭৫ সালে জিয়াউর রহমান যে ধারা শুরু করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, একটা সু-পরিকল্পিত, সুনিদিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তিকে নানা ভাবে সহায়তা করেছে। বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচনকে বানচালের জন্য তারা ঘরে আগুন দিয়েছে। গাড়ি পুড়িয়ে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করেছে। ‘১৪ সালের নির্বাচনের পর ‘১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল, অবরোধ করেছে। সেদিনও বেগম খালেদা জিয়া ঘর ছেড়ে বিএনপির অফিসে জায়গা নিয়েছিল। সেদিন তারা বলেছিল যতদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হবে, যতদিন শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে না পালাবে, ততদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া বিএনপির অফিস ছাড়বে না। ‘৯০ দিন একটানা হরতাল অবরোধ করে ১৫০ জন মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। শতশত মানুষকে আগুনে দগ্ধ করেছে। তারা এখনও দগ্ধতার জ¦ালা নিয়ে বেঁচে আছে। শতশত বাস-ট্রাক পুড়িয়েছে, বিদ্যুতের ঘুটি উঠিয়েছে, রেললাইন উঠিয়ে ফেলেছে। কিন্তু সে সময় সরকারের পতন হয়নি। শেখ হাসিনা এখনও ক্ষমতায় রয়েছে। সফলতার সাথে দেশে পরিচালনা করছে।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।