কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দেশিয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে প্রস্তুত করছেন দিনাজপুরের হিলির খামারীরা। ফলে এখন থেকেই দেশের বিভিন্নস্থান থেকে খামারে গরু দেখতে ও কিনতে আসছেন পাইকাররা। তবে খাবারের দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি করতে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তিত এই খামারীরা।
এখন থেকেই গরু বিক্রির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খামারীরা। খুব যত্নসহকারে প্রস্তুত করছেন খামারের গরু। বড়ডাঙ্গাপাড়ার আরিশা ক্যাটল ফার্মের এস কে আসিফ আহমেদ বলেন এবার ৪০টি বড় সাইজের ষাড় গরু লালন-পালন করেছেন তারা। সব দেশি জাতের গরু। খাবারে কোন ধরণের রাসায়নিক খাবার মেশানো হয়নি। সম্পূর্ন দেশি পদ্ধতিতে খাবার খাইয়ে মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে এসব গরু। আর এজন্য বেশি ব্যয় হয়েছে খামারীদের। প্রতিটি গরুর ওজন হয়েছে ৮ থেকে ১২ মণের উপরে। এখন থেকে গরু দেখতে ও কিনতে ঢাকা সহ আশে-পাশের এলাকা থেকে আসছেন পাইকাররা। দামে বনিবনা না হওয়ায় এবার কোরবানীর ঈদে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন খামার মালিকেরা। গতবারে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবার সরকারের প্রনোদনায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই খামারীরা।
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ ডা.রতন কুমার ঘোষ জানান এবার স্থানীয় ভাবে কোরবানীর জন্য ১৪ হাজার পশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ১৬ হাজারের উপরে পশু রয়েছে। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে এখানকার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল। আশা করা হচ্ছে খামারীরা ভালো দামে বিক্রি করতে পারবে। কারণ ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ রয়েছে।