ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে উৎসাহ উদ্দীপনায় মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব

আবু রাসেল সুমন , খাগড়াছড়ি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৯ অক্টোবর ২০২৪ ১০:২৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেবীর ষষ্ঠাদী কল্পারম্ভ ও বিহীত পূজার মধ্যে দিয়ে 

খাগড়াছড়িতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিন ব্যাপী উৎযাপন করা হচ্ছে প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোপূজা।

 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে ৬টা ১০ মিনিটে মহাষষ্ঠীতে দুর্গো মায়ের চক্ষু দানের মধ্যে দিয়ে,সায়াংকালে কল্পারম্ভ,সন্ধ্যায় মন্দিরে মন্দিরে আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে।

 

বৃহস্পতিবার সকালে মহাসপ্তমী, শুক্রবার সকালে মহাঅষ্টমী ও কুমারীপূজা,শনিবার মহানবমী এবং রবিবার পূজা সমাপন ও দর্পন বিসর্জন।আরাত্রীকের প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্যে দিয়ে এবছরের জন্য বিদায় নেবেন মা দুর্গা।

 

এ বছর খাগড়াছড়ি জেলার নয়টি উপজেলায় ৬১টি পূজা মন্ডবে দুর্গোৎসব উদযাপন করা হবে। পাহাড়ের আনাচে কানাচে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বইছে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার আমেজ। প্রতিটি পূজামন্ডবে নিছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে পুলিশ,আনসার,বিজিবি,ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডবে সেচ্ছাসেবক বাহিনী ও দায়িত্ব পালন করবেন।

 

পাহাড়ে নানান জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের বসবাস। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ভিন্ন-ভিন্ন ভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকেন। সকল উৎসবে মুখরিত হয়ে থাকে পূরো পাহাড়। এবারও দুর্গোপূজায় প্রচুর পরিমাণ মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করছেন সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা।

 

খাগড়াছড়ি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক মজুমদার জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মায়ের আগমনের অপেক্ষায় আছেন সনাতনী সম্প্রাদায়। দেশের ও সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করা হবে মায়ের কাছে। জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমে পূজা উদযাপন করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান পূজামন্ডব পরিদর্শন ও পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় এবং খোজ খবর নেন। তিনি বলেন,সুন্দর পরিবেশে সনাতনী ধর্মাবলম্বী মানুষেরা যেন তাদের পূজা উদযাপন করতে পারে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়েছে। ইতি মধ্যে সকল দপ্তর সমূহকে প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। 

সুতীক্ষ্ণ ভাবে সকল কিছু ই মনিটরিং করা হচ্ছে। 

 

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার জেলার ৬১টি পূজামন্ডবে ৩১টন খাদ্য শষ্যে,খাগড়াছড়ি সদর সেনাজোনের পক্ষ থেকে ৬লক্ষ ১০ হাজার নগদ অর্থ প্রদানসহ হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট থেকে ১লক্ষ ৫২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। 

 

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, হিন্দু ধর্মাবল্বীরা যাতে তাদের উৎসব নিরাপদ ও সুন্দর ভাবে উৎযাপন করতে পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতা ও প্রশাসনের সুরক্ষা ব্যবস্হা এবারে পূজা সুন্দর ভাবে উৎযাপন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।