খুলনায় তৃতীয় দিনেও কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে ট্যাংকলরি শ্রমিকরা। ফলে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও ১৬ জেলায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেলের মজুদ কমে গেছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেল সংকটের।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত রোববার দুপুর থেকে কর্মবিরতি শুরু করে শ্রমিকরা। তার বিরুদ্ধে খালিশপুর বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলা রয়েছে। সোমবার আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের আল আরাফা পেট্রোল পাম্পে দেখা যায়, ডিজেল শেষ হয়ে গেছে। কর্মচারীরা জানান, পেট্রোল ও অকটেন বড়জোর আজকের দিন চলতে পারে। এর মধ্যে সরবরাহ না পেলে তেল দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
খুলনা নগরীর ফেরিঘাট মোড়ের মেসার্স কেসিসি পেট্রোলিয়ামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অকটেন শেষ হয়ে গেছে। অল্প কিছু পরিমাণ ডিজেল ও পেট্রোল রয়েছে। যা দুপুরের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে। প্রায় একই রকম চিত্র খুলনা, বাগেরহাট, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার পেট্রোল পাম্পগুলোতেও।
আন্দোলনকারীরা জানান, একই মামলায় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ৯ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আলী আজিমকে মুক্তি এবং ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতি চলবে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে