ঢাকা, শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় বিএনপির গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ক্ষমতা ত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য সরকারের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। দেশের উন্নয়নের জোয়ার বইছে, আওয়ামী লীগের এই দাবি সত্য হলে অবাধ নির্বাচনের মধ্যমে ভোট করতে সরকারের বাঁধা কোথায় জানতে চান তিনি। 

আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) খুলনায় বিএনপি’র গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন মঈন খান।

নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদেরকে ইতিহাসের কিছু সত্য জানাতে এখানে এসেছি। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় থাকতে একটি নির্বাচন দেই। এরপর আর একটি নির্বাচন হয়, যার আগে পল্টনে এমন একটি সমাবেশ থেকে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন।

বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, জনগণের জন্য রাজনীতি করে দাবি করে তিনি বলেন, ক্ষমতাকে তুচ্ছ করে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন। এমন আর একটি নজির স্থাপনের জন্য তিনি আজকের সরকারের প্রতি আহবান জানান। 

কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ দশ দফা বাস্তবায়ন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ নেত্রীবৃন্দের মুক্তির দাবিতে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি যৌথভাবে কেন্দ্র ষোষিত এই গণমিছিল কর্মসূচীর আয়োজন করে।

ড. মঈন খান বলেন, দু’টি মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। একটি গণতন্ত্র, অন্যটি অর্থনৈতিক মুক্তি। আজ দেশে অলিখিত একদলীয় শাসন চলছে। ১৭ কোটি মানুষ তাদের সব অধিকার হারিয়েছে। পাকিস্তান আমলে ২০টি পরিবার দেশের সম্পদ লুন্ঠন করেছিল। আজ দুই’শ পরিবার দেশের সব সম্পদ লুটে নিয়ে বিদেশে পাঁচার করছে, বেগমপাড়া তৈরী করছে। তাহলে ৭১’এ আমরা কেন যুদ্ধ করেছিলাম। প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

খুলনা মহাগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও খান রবিউল ইসলাম রবি। মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মোঃ তারিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, সৈয়দা রেহানা ঈসা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া।

সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল থানার মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের পর কেসিসি মার্কেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। 

এরআগে সকাল  থেকেই কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয় এবং সংলগ্ন এলাকা, সোসাইটি মোড়, কেসিসি মার্কেট, ডাকবাংলা, ফেরীঘাট মোড় সহ গুরুত্বপূর্ণ সকল মোড় ও পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। একই সাথে মোতায়েন ছিল রায়ট কার ও জলকামান। এক প্রকার যুুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল নগরী জুড়ে। তবে নির্ধারিত সময়েই নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা থেকে একের পর এক বিশাল মিছিল সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছাতে থাকলে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।