![](https://dainikbayanno.com/storage/whatsapp-e-2025-02-17-at-15.jpg)
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের শহীদ এবং আহতদের যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই- আজম।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত তৃতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। আমাদের সময়
ফারুক-ই-আজম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা জুলাই শহীদ নামে খ্যাত হবেন। এই নিরিখে তাদের পরিবারগুলো সনদ ও পরিচয়পত্র পাবেন। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, তারা জুলাই যোদ্ধা নামে খ্যাত হবেন। তারা এই নিরিখে সনদ ও পরিচয়পত্র পাবেন এবং অন্যান্য যেসব সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি তারা ভাতাও পাবেন।
তিনি আরও বলেন, যারা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন সঞ্চয়পত্রের নিরিখে। এর মধ্যে এই অর্থ বছরেই তাদের সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আগামী অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে বাকি ২০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রের নিরিখে পাবেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতের তিনটি ক্যাটাগরি করা হচ্ছে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, যারা এ-ক্যাটাগরিতে (গুরুতর) আহত, তারা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন এবং ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ভাতা পাবেন। বি-ক্যাটাগরিতে যারা (এক অঙ্গহানি হয়েছে) তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন, সঙ্গে ১৫ হাজার করে টাকা মাসিক ভাতা পাবেন। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন মাত্রায় তারা প্রশিক্ষণ পাবেন। তারা সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি পাবেন। কোটার ভিত্তিতে নয়, অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে।
আর আহত হয়েছিলেন তারা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে গেছেন তারা সি-ক্যাটাগরির আহত (কম গুরুতর)। তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি বা অন্য কিছুতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন। তবে তারা কোনো টাকা বা ভাতা পাবেন না, যোগ করেন ফারুক-ই-আজম।
জুলাই অধিদপ্তর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অধিদপ্তর করার কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে, এই সপ্তাহে অধিদপ্তর হয়ে যাবে। অধিদপ্তর হওয়ার নিরিখে একটি নীতিমালাও হয়েছে। এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে।
নতুন সরকার আসলে জুলাই অধিদপ্তরের অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে, সেই আশঙ্কা করছেন কি না- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকারিভাবেই অধিদপ্তর করা হয়েছে। পরে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারাও তো জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়েই আসবেন।আমরা আশা করছি- এটা তারাও লক্ষ্য করবেন। এরা তো দেশ ও জাতিকে বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
আহত-নিহতের তালিকা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে ফারুক-ই-আজম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ তাদের তালিকা আমরা পেয়েছি ১৬ জানুয়ারি রাত ৭টায়। আমরা রাত ৩টায় গেজেট প্রকাশ করে দিয়েছি। তালিকাটাও তৈরি হচ্ছে খুব দ্রুত। মেডিকেল সেল থেকেই এটা করা হচ্ছে। সেটা যখন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আসবে, আমরা তাৎক্ষণিক তা গেজেটে প্রকাশ করে দেব। সুতরাং এখানে কারও ঢোকা কিংবা এটা থেকে কারও বের হওয়ার কোনো উপায় থাকবে না।
বায়ান্ন/আরএইচ/পিএইচ