ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস আজ,

গানে গানে স্মরি তোমাদের

কামরুল হাসান : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৩০:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস আজ। দেশের  প্রতিটি মানুষ তাঁদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছে। তাই দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, সংস্থা-সংগঠন ও গুরুত্বপূর্ণ  প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এর কাল রাত্রি থেকে শুরু হয় বাঙালি দমন পীড়ন তথা নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। চলে টানা সাড়ে নয় মাস। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসীকতাপূর্ণ তুমুল প্রতিরোধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন পরাস্ত প্রায়, ঠিক তখনই পাকিস্তানি হায়েনারা দেশের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা লীলা শুরু করে। কারণ- তারা বেশ ভালো করেই জানত যে, যদি কোন জাতির বড় ক্ষতি করতে হয়, তাহলে সে জাতির বুদ্ধিজীবি তথা জ্ঞানী-গুণীদের আগে শেষ করতে হবে। তাই শহীদুল্লা কায়সার, মুুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকরতা, গোবিন্দচন্দ্র দেব, সিরাজুদ্দীন হোসেন, আনোয়ার পাশা, আলতাফ মাহমুদ, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আবদুল আলীম চৌধুরী, জহির রায়হান, নিজামুদ্দীন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, সেলিনা পারভীন ও গিয়াসউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ বুদ্ধিজীবি তথা জ্ঞানী-গুণীদের হত্যা করে বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে। তাই আমিও আর দশজন বাঙালির ন্যায় গানে গানে তাঁদের স্মরণ করছি- লক্ষ শহিদের জীবনের বিনিময়ে/পেলাম স্বাধীন পতাকা/শহিদের রক্ত দিয়ে আঁকা/মানচিত্রের প্রতিটি রেখা/শহিদেরা থাকবে সবারই অন্তরে/হয়ে চির অম্লান। আবার, মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি/মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি/মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি/মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি/মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি/মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি। এছাড়া- ও আমার আট কোটি ফুল দেখো গো মালী/শক্ত হাতে বাইন্দো মালী লোহারও জালি। এমনকি- যাদের রক্তের বিনিময়ে এই জাদু-মানিক স্বাধীনতা/তাদের কি ভোলা যায়/এই পতাকা যতদিন উড়বে/এই চাঁদ, এই সূর্য যতদিন দুলবে আকাশে/নদী বইবে, পাখি গাইবে গান/ততদিন তারা থাকবে, থাকবে এই গান/এক নদী রক্ত পেরিয়ে/বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা/তোমাদের এই ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না/না, না, না, শোধ হবে না। এরপর- এক সাগর রক্তের বিনিময়ে/বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা/আমরা তোমাদের ভুলবো না/আমরা তোমাদের ভুলবো না/দুঃসহ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে/শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা/আমরা তোমাদের ভুলবো না/আমরা তোমাদের ভুলবো না। পরিশেষে- তোমার ছেলেরা/ফেরেনি যাহারা ঘরে/ফুটে আছে তারা.../লাল গোলাপের ঝাড়ে। 

 

(লেখক: সাংবাদিক, ডিরেক্টর- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব, ঢাকা এবং সাবেক শিক্ষক ও এনজিও কর্মকর্তা)