সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। মারাত্মক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে কৃষি পরিবার।
সড়ক পথে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী সবকটি রাস্তা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ থেকে টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ৪-৫ থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় পানি বৃদ্ধি হতে থেকে। আর বর্তমানে বন্যার পানি গোয়াইনঘাট উপজেলায় ভয়াবহ রুপ নিয়েছে।
সর্বশেষ গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের কিছু অংশ ব্যাতিত ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রধান সড়ক গুলো সালুটিকর - গোয়াইনঘাট, সারীঘাট - গোয়াইনঘাট, জাফলং - গোয়াইনঘাট, হাতির পড়া - ফতেহপুর এবং আহারকান্দি - গোয়াইনঘাট সড়ক গুলো বিছিন্ন ভাবে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার শহ্রাধিক পরিবারের বসতঘরে বন্যার পানি উঠেছে। আকস্মিক এ বন্যায় হাজার হেক্টর বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির হস্তক্ষেপে সিলেটের জেলা প্রশাসক প্রাথমিক ভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ২৪ মেট্রিকটন জিআর চাল বরাদ্দ করেন। যা ইতিমধ্যে বানভাসি মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন প্রাথমিক ভাই ২০ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আরো ২৭ টিসহ মোট ৪৭ টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করে। তার মধ্যে নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের ২ টি,লেঙ্গুড়া ইউনিয়নে ১ টি,রুস্তুমপুর ইউনিয়নে ১ টি, পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে ১ টি এবং ডৌবাড়ী ইউনিয়নে ১ টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ মোট ৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তরা আশ্রয় নিয়েছেন।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার সিংহভাগ অঞ্চল স্থানীয় ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিমজ্জিত রয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির ফলে সড়ক পথে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ৪৭ টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে। তার মধ্যে ৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রে বানভাসি মানুষেররা আশ্রয় নিয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ২৪ মেট্রিকটন জিআর চাল বরাদ্দ করে পানিবন্দি মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আজ বিকেলে সরকারি সহায়তা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।