ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপে দেশের সমুদ্র উপকূলকে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার ও টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জাহাজ চলাচল।
ফলে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। তবে দ্বীপে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, শনিবার সমুদ্রবন্দরে ৩ নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় জাহাজ কর্তৃপক্ষরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে না।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৫৪টি আবাসিক হোটেলে বর্তমানে সহস্রাধিক পর্যটক রয়েছেন, যারা ফিরে যেতে পারেননি। কারণ সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজ ছাড়ার পরে উপজেলা প্রশাসন থেকে জাহাজ বন্ধের ঘোষণা আসে। এতে পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশনা আসা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকতে হবে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে দ্বীপে।
দ্বীপের বাসিন্দা নৌবাহিনী স্কুল ছাত্রলীগ নেতা আব্দু রহমান প্রিন্স বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাব পড়ে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। কাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। বৈরি আবহাওয়ায় কক্সবাজার থেকে জাহাজ না আসায় দ্বীপে সহস্রাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত কেটে যেতে দু-একদিন সময় লাগবে। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। এ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।