ঢাকা, শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চট্টগ্রামে অস্থির চালের বাজার, অভিযানেও কমছে না দাম

মো. এনামুল হক লিটন, চট্টগ্রাম | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:৫৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা, টাস্কফোর্স গঠন, আমদানির অনুমোদনসহ সরকারের নানা পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলেও কোনো কিছুই যেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা চট্টগ্রামের চালের বাজার। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।

আমনের ভরা মৌসুমেও চট্টগ্রামে বেড়েই চলেছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২-৪ টাকা। এছাড়া খুচরা বাজারে চালের প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা।

পাইকারি বাজারের ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্বর্ণা ও ইরি মানের মোটা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৮ টাকা, মাঝারি আকারের চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬২-৬৬ টাকা এবং চিকন চাল ৭২-৮০ টাকা।

জানা গেছে, চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক প্রত্যাহার, বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির পরও বাজারে দাম কমার কোনো প্রভাব নেই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে ২৭৫ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। মিল মালিকদের কারসাজিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

জানা গেছে, চলতি মাসে দু-দফা বেড়েছে চালের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মোটা চাল প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২৭৫ টাকা থেকে ৩০০ টাকা।

খুচরা বাজারের ব্যবসায়িদের অভিযোগ, চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জে সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে বাড়তি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ছে বেশী।

অন্যদিকে নগরের চাক্তাই মিল মালিকরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, গত দুই মাসে মনপ্রতি ধানের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। যার প্রভাব পড়েছে চালের পাইকারি ও খুচরা বাজারে।

জানা যায়, চালের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশের পাশাপাশি রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। গত পহেলা নভেম্বর দুই শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে সরকারি আদেশে শুল্ক প্রত্যাহর করা হয়।

বৃহস্পতিবার নগরীর পাহাড়তলী-চাক্তাই চালপট্টি ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। চাক্তাই চালপট্টিতে পাইকারি বাজারে মোটা সিদ্ধ চালের দাম বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) ৩০০ টাকা বেড়ে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। একইভাবে মানভেদে বেড়েছে অন্যান্য চালের বস্তার দাম।

চাক্তাই চালের আড়তদার সাইফুল ইসলাম জানান, চালের দাম বাড়ানোতে আমাদের কোনো হাত নেই। মিলাররাই চালের দাম বাড়াতে পারেন।

তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মোকাম থেকে চাল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন মিলাররা। এতে করে বর্তমানে সব ধরনের চালে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে চালের দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে