
দেমের নাগরিকদের তথ্য ফাঁস রোধে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইয়ের সময় চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যের বিপরীতে 'ম্যাচ' অথনা 'নো-ম্যাচ' সংকেতের মাধ্যমে এনআইডি যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির এনআইডি উইংয়ের এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
সোমবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এনআইডি সেবা কার্যক্রমে চুক্তিবদ্ধ ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিন দিনব্যাপী মতবিনিময় শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আগে ব্যক্তির নাম ও জন্মতারিখ দেয়ার পর চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এনআইডির তথ্যগুলো চলে যেত, এরপর তারা যাচাই করতেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তথ্য যাচাই আমরা অনলাইনের মাধ্যমে করে দিব। নাম ও জন্মতারিখ দেয়ার পর 'ম্যাচ' অথবা 'নো ম্যাচের মাধ্যমে তাদের এনআইডির তথ্য যাচাই করে দিব।
তিনি বলেন, কেউ পাঁচটি তথ্য যাচাইয়ে আমাদের সিস্টেমে অনুরোধ পাঠাবে। এগুলোর মধ্যে আমরা কোনটি ভুল কোনটি সঠিক, তা বলে দিব। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুপারিশ অনুযায়ী আমরা ব্যক্তির ছবি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যক্তির ছবিও দেখতে পাবেন। আমারা বলেছি এটা দেয়া সম্ভব।'
তিনি আরো বলেন, বিশেষ অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে আমরা এনআইডি সেবা চুক্তিটি বাতিল করেছি। পরবর্তীতে জানতে পারি অনলাইনে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি এনআইডি নিয়ে কাজ করে। আমাদের টেকনিক্যাল টিম এটি খুজতে শুরু করে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের টিম যাওয়ার পর দেখতে পায়, সেখান থেকে তথ্য ফাস হচ্ছে। সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি। এনআইডির তথ্য ফাস ঠেকাতে আমরা চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকছি, এবং তাদের মতামত গ্রহণ করে কিভানে তথ্যগুলোকে আরও সুরক্ষিত রাখা যায় এ নিয়ে আলোচনা করেছি।
তথ্য ফাস রোধে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক বলেন, আমরা একটি টিম করে দিব। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও থাকবেন। উনারা যে কোন সময়, যে কোন প্রতিষ্ঠান যেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম চেক করতে পারবেন। যাতে ওই সিস্টেমের কোথাও কোন ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়।'
এনআইডি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নিরাপত্তা সার্টিফিকেট নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'যারাই এনআইডি সিস্টেম ব্যবহার করবে অথবা ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, ওই সব প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স আমরা নিব। এমনকি ওইসব প্রতিষ্ঠানে পরিচালক এবং সিস্টেম পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও আমরা নিব। কোন ভ্যান্ডর প্রতিষ্ঠান যেন দুর্বল সিস্টেম না চালায় এজন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পরিষ্কার তথ্যা আমাদের কাছে থাকবে। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোএক বলে দিব কোন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সিস্টেমে থাকতে হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝুলে থাকা এনআইডি সংশোধন আবেদনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। তিন মাস পর আমরা আরও ভাল খবর দিতে পারব।
বায়ান্ন/আরএস