হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে চা-বাগানের কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) উপজেলার ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে “মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প” এর আওতায় বাস্তবায়িত ক্যাপসিকাম প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরে আলম সিদ্দিকী। চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন পলাশ।
প্রধান অতিথি কৃষিবিদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন- উন্নত বিশ্বে ক্যাপসিকাম খুবই উপকারী একটি সবজি হিসেবে আমাদের এই বিশ্বে পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা, আপনাদের এই চুনারুঘাট উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে এই মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ক্যাপসিকামটি চাষ করা হয় এবং আপনারা আশেপাশে যারা দেখলেন, জানলেন- তারা ক্যাপসিকাম চাষ করা সম্পর্কে বুঝতে পেরে, আগামীতে যারা চাষ করতে চাইবেন। তারা উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগীতা পাবেন এবং আপনাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন। তিনি আরোও বলেন- আগামী দিনের কৃষি হবে স্মার্ট কৃষি। স্মার্ট কৃষি মানে বাণিজ্যিক কৃষি। যে কোন কিছুই হবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য। তাহলেই আমরা জিডিপিতে আমাদের প্রত্যেকের উৎপাদন যোগ করে, আমাদের দেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে সক্ষম হবো। এছাড়াও তিনি উপস্থিত কৃষক-কৃষানীদেরকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন- ক্যাপসিকামকে একটি উচ্চমূল্য ও আগামী দিনের সবজি হিসেবে গ্রহণ করুন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সৈয়দ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্লক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহানুর, সৈয়দ কায়সার আহমেদ, বিনয় সিংহ, মহিবুর রহমান রুমন, কৃষক ফারুক মোল্লা ও সাবেক মেম্বার চন্দ্র তাঁতী প্রমুখ। এ সময় স্থানীয় শতাধীক কৃষক-কৃষাণী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।