ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ ওসামার কবর জিয়ারত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহীদ ওসামার কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্য বাসে করে রওনা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। পরে দহকুলা জামে মসজিদে জুম্মার নামায শেষে ওসামার আত্মার শান্তি কামনায় মুসল্লীদের মাঝে তোবারক বিতরন করে কবর জিয়ারত করেন তারা।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি সমন্বয় এস এম সুইট, শহীদ ওসামার পিতা জয়নাল আবেদীন, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, গোলাম রাব্বানী, সাজ্জাদ হোসাইন, মুবাশ্বির আমিন, সাব্বির হোসাইনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও নামাজ শেষে মুসল্লীরাও কবর জিয়ারতে অংশ নেন।
জানা যায়, ছাত্র আন্দোলন শহীদ ওসামা কুষ্টিয়া জেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া সদর কুয়াতুল ইসলাম কামীল মাদরাসায় আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিলরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে তিনি সাহাদাত বরণ করেন।
ইবি সমন্বয় এস.এম সুইট বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার তার ভিন্ন মত দমনে এমন কোনো এমন অন্যায় কাজ নেয় যেটা তারা করেননি। বিনা কারণে মানুষে উপর জেল, জুলুমসহ অন্যায় ভাবে মানুষকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে। এমনকি তাতেও না পারলে আয়না ঘর নামক বন্দি শালায় রেখে নির্মমভাবে পাশবিক নির্যাতন করেছে। তারই প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আমরা আজ এক স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আজ ছাত্র জনতার সফল অভ্যুত্থানের ১০০তম দিনে আমরা শহীদ পরিবার এবং আহতদের সাথে সাক্ষাৎ করছি। দহকুলা বাসি আপনারা অনেক ভাগ্যবান। কারণ আপনারা একজন শহীদকে পেয়েছেন। যে বৈষম্যবিরোধী সমাজ বিনির্মানে ওসামার মতো ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন তাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা কাজ করছি এবং হাজারো শহীদ ভাইদের বৈষম্যবিরোধী সমাজ বাস্তবায়নের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল সেই সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাবো।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে