৭ খুনের প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন, বিচার ও ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরনসহ নানা দাবিতে লক্ষ্মীপুরে নৌ-যান শ্রমিকদের অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতী চলছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুরু হয় এই কর্মবিরতী। বিশেষ করে মালবাহী, বালুবাহী, তেলবাহী ও পণ্যবাহী নৌ-যানের শ্রমিকরা এই কর্মবিরতী পালন করছে। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আপাতত যাত্রীবাহী নৌ-যানগুলো কর্মবিরতীর আওতায় থাকবে বলে জানান শ্রমিক নেতারা।
সরেজমিনে শনিবার সকালে মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পন্যবাহী কার্গে থেকে কোন মালামাল লোড ও অনলোড করা হচ্ছেনা। ঘাটেই অবস্থান করছে পন্যবাহী কর্গোগুলো। মজুচৌধুরী হাট ঘাট থেকে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই নৌ-রুট। যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতীর আওতায় থাকলেও দূর্ভোগে পড়েছে ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রীরা।
এদিকে ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রী হারুন ও তোফায়েলসহ অনেকেই জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে শ্রমিকদের কর্মবিরতী চলছে। যদিও যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল করার কথা। বেশিরভাগ নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। দ্রুত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নৌ-যান চলাচল শুরু করার আহবান জানান যাত্রীরা।
কর্গো শ্রমিকরা জানায়, মুজচৌধুরীর হাট ঘাটে প্রতিদিন শতাধিক বিভিন্ন পন্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য লোড-আনলোড করা হয়। নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সব সময় কাজ করতে হয়। কিন্ত বিভিন্ন সময়ে দাবি-দাবা নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। চাঁদপুরে জাহাজে যে ৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এখন পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে রহস্য উদঘাটন হয়নি। পাশাপাশি শ্রমিকের ক্ষতিপূরন হিসেবে ২০ লাখ টাকা করে যে দাবি সেটাও যৌক্তিক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী চলবে বলে ঘোষনা দেন শ্রমিক নেতারা। অন্যাথায় আরও কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী দেন তারা।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে