জামিনে জেল থেকে মুক্তির পর মৌলভীবাজারের বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল আবারও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই জেলগেট থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এরপর ডিবি তাকে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে ওইদিন রাতেই পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর বড়লেখা থানায় করা পাঁচটি মামলার এজাহার নামীয় আসামি বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর)জামিন পান। এরমধ্যে তিনটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে এবং দুটি মামলায় বড়লেখা সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তার জামিন হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই ডিবি পুলিশ জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে। পরে মৌলভীবাজার মডেল থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের পক্ষে গত ২৫ নভেম্বর করা রাসেল আহমদের মামলায় (নং-২৯) সন্ধিগ্ধ আসামি হিসাবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে সরকার পতনের পর গত ২৯ আগস্ট সৌদি আরব যাওয়ার সময় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল ও যুবলীগ নেতা জালাল আহমদকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওইদিন রাতেই তাদের বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরদিন বড়লেখা থানায় বড়লেখা পৌর যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তপাদারের করা মামলায় ছালেহ আহমদ জুয়েলকে ৬ নম্বর ও জালাল আহমদকে ৩১ নম্বর আসামি হিসাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।