চিকিৎসা সেবা ও মানব কল্যানে বিশেষ অবদান রাখায় ঝিনাইদহের আলোকিত নারী চিকিৎসক ডাঃ শামীমা সুলতানাকে কবি সুকান্ত স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে এওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। রোববার ঢাকার সেগুন বাগিচার শিশু কল্যান পরিষদ মিলনায়তনে এই সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। এ সময় কবি সুকান্ত স্মৃতি পরিষদের প্রেসিডেন্ট কাজী জামাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিটন ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এই নিয়ে ঝিনাইদহের এই গুনি চিকিৎসক চারবার বিভিন্ন পদক ও এওয়ার্ডে ভুষিত হলেন। ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে ডাঃ শামীমা সুলতানা ইওসি কাজের জন্য প্রথম এওয়ার্ড পান। এরপর ঝিনাইদহ পৌরসভার পক্ষ থেকে রত্নাগর্ভা মা হিসেবে সংবর্ধনা প্রদান করে ক্রেস্ট দেয়া হয়। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে বিশ্ব নারী দিবসে ঢাকার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তন আইডিবি ভবনে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল তাকে আলোকিত নারী হিসেবে মাদার তেরেসা গোল্ড এওয়ার্ড পদকে ভুষিত করে। ৩৮ বছর চিকিৎসা জীবনে ডাঃ শামীমা সুলতানার এই প্রাপ্তি ঝিনাইদহবাসির জন্য গৌরবময় খ্যতি বয়ে এনেছে। তথ্য নিয়ে জানা যায়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনী এন্ড অবস ডাঃ শামীমা সুলতানা রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ১৯৮৩ সালে চাকরী জীবন শুরু করেন। শুরু থেকে তিনি নিজেকে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ডাঃ শামীমা সুনামের সাথে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তার স্বামী ডাঃ সিদ্দিকুল ইসলামও একজন খ্যতিমান চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৭ সালে জেলার এই নারী চিকিৎসক অবসর গ্রহণ করে নিজের ক্লিনিকে নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। একের পর এক তার এই সাফল্যে ঝিনাইদহবাসী গর্বিত। তার এ অর্জনে জেলায় কর্মরত চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।