সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ মে) সকাল ৮টায় জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই ঈদ জামায়াতে ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুণ্ডু ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে প্রায় শতাধিক মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ইমাম মাওলানা রেজাউল ইসলাম জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে রেখে তারা এই ঈদ জামায়াতের আয়োজন করে থাকেন। এতে ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে শতাধিক মানুষ ঈদ জামায়াতে নামাজ আদায় করেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা রেজাউল ইসলাম জানান, সহি হাদিসের আলোকে বিগত ১৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুণ্ডুতে ঈদ জামায়াত করেন। দীর্ঘদিন করোনা থাকার কারণে এ বছর এখানে শত মুসল্লি সমাবেত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
ঈদ জামায়াত কমিটির সভাপতি মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘ওআইসিসহ সকল সুমলিম উম্মা আজকে ঈদের নামাজ আদায় করছে। সে কারণে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করছি। আমরা রাসুলের (সা.) সুন্নাহ অনুসরণ করে চলি। রসুল যেভাবে চলতে বলেছেন, আমরা সেইভাবে চলি। কোন দেশে কখন ঈদ হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ চাঁদ দেখে রোজা ভাঙো। পৃথিবীর যেকোনো সময় যেখানেই চাঁদ দেখা যাবে তখন থেকে রোজা রাখা এবং রোজা ভাঙার নিয়ম রয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদের জামায়াত সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। আমরা শুধু তাদের নিরাপত্তার কাজে কয়েক ফোর্স সেখানে পাঠিয়েছি। কোনোভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয় সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব।