টাঙ্গাইলে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব ১২ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হচ্ছে, পশ্চিম আকুরটাকুরপাড়া এলাকার মৃত আ. খালেক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩৩), আ. রাজ্জাক মৃধার ছেলে শাওন মৃধা (২৫) ও কচুয়াডাঙ্গা এলাকার নূর মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল আল মামুন (২০)।
টাঙ্গাইলের র্যাব ১২ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২১ ডিসেম্বর সাড়ে ৯ টায় একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন মাইক্রো স্ট্যান্ড হতে সাবালিয়া তানযীমুল উম্মাহ মাদ্রাসার একজন শিক্ষককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে ভিকটিমের বড় ভাই টাঙ্গাইল র্যাব অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে, ভিকটিম ও অপহরণকারীরা আকুরটাকুর পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। অপহরণকারীরা ভিকটিমকে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে এবং ভিকটিমের পরিবারের সাথে মুক্তিপণের টাকার বিষয়ে দেন দরবার করে। অপহরণকারী চক্র অপহরণের টাকা বিকাশ এজেন্টর দোকানে গ্রহণ করার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর ও ভিকটিমকে মুক্তি না দিয়ে, ভিকটিমকে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় র্যাব সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অপহরণকারীরা রাবনা বাইপাস এলাকায় ভিকটিমকে হাত, পা ও মুখ বাধা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। র্যাবের আভিযানিক দল ভিকটিমকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করে। ভিকটিম আভিযানিক দলকে জানায় যে, অপহরণ চক্রের ৮/১০ জন সদস্য অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি তুলে রাখে এবং অনেক মারপিট করত এবং তার পরিবারের নিকট হতে মুক্তিপণে জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই বিষয়ে ভিকটিম নিজে বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যান্য আসামীদের আটক করার বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।