টাঙ্গাইলে ডাকাতি মামলায় একজনকে ১০ বছর ও ৬ জনকে আট বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের মফিদুল ইসলাম, সম্রাট, রূপন মিয়া, রবিন মিয়া, সুজন মিয়া এবং রাজন মিয়া। তাদের মধ্যে মফিদুলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি সবাইকে আট বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মনিরুল ইসলাম খান জানান, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট দিনগত রাতে বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামে আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল আজাদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে আবুল আজাদ ও তার স্ত্রী শামীমা আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে ১৪ ভরি সোনার গহনাসহ সাত লক্ষাধিক টাকার মালপত্র লুট করে নেয় ডাকাতরা। ঘটনার পরদিন আবুল আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাসাইল থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রথমে সম্রাট ও সুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে বাসাইল থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তথ্য-উপাত্ত ও জবানবন্দি পর্যালোচনা করে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দিলেন আদালত। মামলা চলাকালে সব আসামি জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেন। মফিদুল ও রূপনকে কয়েক মাস আগে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ দু’জন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি পাঁচ আসামি এখনো পলাতক।
মামলার বাদী আবুল আজাদ জানান, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে সাজার আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।