ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১২ জানুয়ারী ২০২২ ১১:২১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঘরোয়াভাবে শালিসী বৈঠক শেষে সোমা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূ শরীরে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্বজনরা। উপজেলার বোয়ালী পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সে ওই এলাকার এরশাদ মিয়ার স্ত্রী। এদিকে আত্মহত্যা নয়, আগুন জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মা পারভীন আক্তার।

এলাকাবাসী জানায়, পারিবারিক বনিবনা না হওয়ায় গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে এরশাদের বাড়িতে একটি শালিসী বৈঠক হয়। তার কিছুক্ষণ পর বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে সোমা নিজেই শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনার চার দিন পর বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সে মারা যান।

ওই এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানায়, মেয়েটা নিজেই শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি তখন ওই বাড়ির রান্না ঘরের পাশে ছিলাম। শালিসী বৈঠকের কথা জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় যাচ্ছি। সন্ধ্যায় সব বলবো বলে ফোন কেটে দেয়।

 

নিহত সোমার মা পারভীন আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে আগুন দিয়ে পুড়ার সময় বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আগেও আমার মেয়েকে তার স্বামী এরশাদ লোহার প্যারাক (রড) দিয়ে শ্যাক দিতো। স্বামী, শ্বশুর মিলে আমার মেয়েকে আগুন ধরিয়ে পুইড়া মারছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। মেয়ের মা পারভীন আক্তার আরও বলেন, প্রায় চার বছর আগে মির্জাপুর উপজেলার গয়রামপুর গ্রামের নঈমুদ্দিনের মেয়ে সোমা আক্তারের সাথে সখীপুর উপজেলার বোয়ালী পশ্চিমপাড়া এলাকার সোমেশ আলীর ছেলে এরশাদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। এর আগেও এরশাদ একটি বিয়ে করেছিল। আর এ ঘটনা আমরা বিয়ের পরে জানি। সেই ঘরে ১৫ বছরের এক মেয়ে আছে। সেই সংসার নিয়েও মামলা চলছে। 

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে সাইদুল হক ভূইঁয়া বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।