রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা। একদিন বৃষ্টি হলেই এখানকার সড়কে জমে হাঁটু পানি। জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি পোহান স্থানীয়রা। আর টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলে ভোগান্তির যেন শেষ থাকে না।
ভারী বৃষ্টি হলে নিচু জায়গা এবং বাড়িঘরেও ঢুকে পড়ে পানি। সেই পানির সাথে বাড়ির পয়োবর্জ্য ও অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা সড়কে চলে আসায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার নেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এমন জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সিটি করপোরেশন।
দক্ষিণখান এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘এই পানিতে হাঁটলে চুলকানি, ঘা, পাচরাসহ এলার্জি হচ্ছে। ২০ মিনিট বৃষ্টি হলেই পানি ভরে যায়। চলাফেরা খুবই অসুবিধা।’
টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণখানের পাশাপাশি শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নাকাল হতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই এমন দুর্ভোগ। তবে বৃষ্টির পানি দ্রুত সরাতে কুইক রেসপন্স টিম মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কথা স্বীকার করে উত্তর ঢাকার মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
মেয়র বলেন, ‘যেটা সম্ভব না সেটা কিন্তু বলে কোনো লাভ হবে না। কেননা ওখানে তো আমাদের ড্রেনই করা হয়নি। ওখানে ড্রেন আছে একফিট। আমরা এখন শুরু করেছি ৬ ফুট ড্রেন নির্মানের কাজ। আমি নতুন ১৮ ওয়ার্ডের জনগণকে বলব, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন, আমাদের টিমও এখানে আছি। আমাদের টিম পানি নিঃসরণ করতে পারবে না। কারণ সবই তো দখল হয়েছে। সুতরাং নতুন ১৮ টা ওয়ার্ডের জন্য এখন ড্রেনের উপরেই ভরসা করতে হবে। ড্রেনটা আমরা করছি।’
টানা বৃষ্টিতে শুক্রবারও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানি দ্রুত সরাতে কুইক রেসপন্স টিম মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।