সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও দুবাই থেকে ঢাকা ফেরেননি সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। রোববার সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে ঢাকায় ফেরার টিকিট কাটা ছিল তার। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি দুবাইয়েই রয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুবাইয়ে বাংলাদেশি কনস্যুলেট খুললে সেখানে ভিসা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবেন মুরাদ। এজন্য একাধিকবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগও করেছেন তিনি।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ভোর ৭টা ৫৬ মিনিটে দুবাই থেকে আসা ইকে-৫৮২ ফ্লাইটটি বাংলাদেশে অবতরণ করে। সকাল ১০টার মধ্যে এয়ারলাইন্সটির প্রায় সব যাত্রীর ইমিগ্রেশন শেষ হয়েছে। ফ্লাইটে ডা. মুরাদ হাসান আসেননি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে দুবাই থেকে এমিরেটসের আরকেটি ফ্লাইট আসবে। ভিসা না পেলে এই ফ্লাইটে আসতে পারেন মুরাদ হাসান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মুরাদ হাসানের মন্তব্যের ব্যাপারে সমালোচনার মধ্যেই একটি টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয় গত রোববার। তখন তীব্র নিন্দার মুখে তিনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যান।
এরপর গত সোমবার রাত প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। পরদিন মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠান।
পদত্যাগের পর মুরাদ হাসান সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন এবং তাতে তিনি লিখেছিলেন, যদি তার কোনো ভুল হয় তাহলে যেন ক্ষমা করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ের মুরাদ। তবে টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সেখানে ঢুকতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে তাকে আবার দুবাই ফিরে আসতে হয়।