ঢাকা, শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১

টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল কারীদের ঈদ যাত্রা সুখবর হবেনা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৫৫:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নীত করনের কাজ চলছে ঢিমেতালে।ঢিলেঢালা ভাবে কাজ চলায় ও সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরে থাকা, ধুলাবালিতে অন্ধকার হয়ে থাকায় চরম ভোগান্তিতে এ সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা।প্রায়শই এ সড়কটিতে যানবাহন উল্টে ঘটছে দুঘৃটনা। তাই এ রাস্তা ব্যবহারকারীদের এবারের ঊদযাত্রা মোটেও সুখকর হবেনা। চলাচলকারীরা ও চালকরা দ্রুত সড়ক স¤প্রসারণের কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন।অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। 

টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক মহাসড়কটি খানাখন্দে ভরে থাকা, রাস্তার বিভিন্ন স্থানে আগের অংশ ভেঙ্গে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা,নির্মানাধীন রাস্তার কাজের গতি কম থাকায় গাড় চলছে হেলেদুেেলএ সড়কে চলাচর কারী যাত্রী সাধারনের ভোগান্তি এখন চরমে।

২০২০ সালের জুনে ৬’শ ১২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি  মহাসড়কে উন্নীত করণের জন্য অনুমোন দেয় একনেক।কিন্তু, দরপত্র আহবানসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যšন্ত। 

এরপরই শুরু হয় সড়ক স¤প্রসারনের কাজ।সড়কটির বর্তমান প্রশস্থতা ধরা হয়েছে ৩৪ ফুট।কিন্তু ঢিলেঢালা ভাবে সড়কের কাজ চলায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন চলাচলকারী যাত্রীরা।সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহন চালক ও যাত্রীরা।প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোন দূর্ঘটনা। 

গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট যেতে যেখানে সময় লাগার কথা ১ ঘন্টা সেখানে সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘন্টা। এছাড়া পণ্য ও কৃষিপণ্য পরিবহন চলাচল করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা। দ্রুত এ সড়কটির কাজ শেষ করার দাবী পরিবহন চালক ও যাত্রী সাধারনের।

ভ্যান চালক মিলন শেখ বলেন,দুই বছর ধরেই দেখছি রাস্তার কাজ চলছে। কিন্তি এখনও কোন কাজ হয়নি।আমারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলেই আমাদের গাড়ির টায়ার নস্ঠ হয়ে যায়।ঝাকির কারনে ব্যানে লোক উঠতে চায়না। এখন আমাদের হয়েছে বিপদ। ভ্যান না চালাতে পারলে তো না খেয়ে মরতে হবে।

ভ্যান যাত্রী সামচুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন পরই ঈদ উপলক্ষে মানুষ বাড়ি আসবে।এমন রাস্তায় তো দুর্ঘটনা ঘটবে।এই বিপদের ঝুকি নিয়ে মানুষ কেমনে বাড়ি ফিরবে।ভ্যানে বা বাসে উঠলে মাজা ব্যাথা হয়ে যায়। দায়ে পড়ে একন গাড়িতে উঠতে হয়।এর থেকে হেটে গেলে আরো ভাল হয়।এ ভাবে আর কত দিন রাস্তার কাজ চলবে।

বাস যাত্রী শ্যামলী বালা বলেন,টেকের হাট খেকে উরপুর যাব মেযে বাড়িতে বেড়াত্ে কিন্তু সাতপাড় পযৃন্ত আসতেসতেই আমার কোমর ব্যাথা হয়ে গেছে। মনে হয় নাগরদোলায় উঠেছি।গাড়িতে ঠিক মত বসতে পারিনা। হাতে পিঠে সব জায়গায় আঘাত লাগে। সিত থেকে পড়ে যাব এমন মনে হয়।

বাস ড্রাইভারা বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে প্রতিদিন গাড়ির পাতি ভেঙ্গে যায়।যাত্রীরা সিট থেকে ছিটকে পড়ে যায়। ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হয়্। গোপালগঞ্জ থেকে টেকের হাট যেতে যেখানে ১ ঘন্টা সময় লাগার কথা সেখানে  সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘন্টা।আমরা দ্রত এই সড়েকের কাজ শেষ করার দাবী জানাই।  

গোপালগঞ্জ সড়ক ওজনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন জানান, সড়কটি স¤প্রসারনের কাজ শেষ হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্র যোগ হবে।আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।