ঢাকা, রবিবার ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০শে মাঘ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে জমি সহ স্থাপনা দখলের চেষ্টা

ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু, ঠাকুরগাঁও | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১০:০২:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও, সময়ের প্রয়োজনে রং পাল্টানো সে সরকারের কিছু নেতা এখনও বহাল তবিয়তেই চালিয়ে যাচ্ছে জবরদখল সহ তাদের নানা অপকর্ম। যার জলন্ত প্রমান দেয় ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলার পাঁচ দশক পুরনো মহিলা সমবায় সমিতি। দীর্ঘদিন ধরেই অবরুদ্ধ হয়ে মুখথুবড়ে পড়ে রয়েছে এ সমিতি ও তার সকল কার্যক্রম।

আর এ সমিতি অবরুদ্ধ ও সমিতির জায়গা দখলের পায়তারা করার পেছনে প্রথমেই আসছে বিগত ফেসিষ্ট ও স্বৈরাচার সরকারের অনুসারী হরিপুরের ক্ষমতাধর আওয়ামী নেত্রী মোকারমা বাবলির নাম। তার এসব কাজের সমান অংশিদার ও সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখছে উপজেলার শেখ রাসেল পরিষদের নেতা বক্কর। অপরদিকে বাবলির এ ধরনের অপকর্মের বৈধতা নিশ্চিতে তিনি ব্যবহার করছেন স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাদের।  

জানাযায়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পিতা সাবেক মন্ত্রী মরহুম মির্জা রুহুল আমিন ১৯৭৬ সালে স্বপত্নীক হরিপুর মহিলা সমবায় সমিতির উদ্বোধন, অনুদান সহ প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে সার্বিক সহযোগীতা করেন। দশ শতক জমির উপর নির্মিত এ প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক দশক ধরে স্থানীয় অনগ্রসর নারীদের কর্মে দক্ষতা বৃদ্ধি সহ নানা সামাজিক ও উন্নয়নধর্মী কাজে নারীদের অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করে। গত ২০২২ সালে এ সমিতি ও তার জায়গা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী নেতা বক্কর ও আওয়ামী নেত্রী বাবলি জমি আত্মসাতের কৌশল অবলম্বন করলে সমিতির পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আদালত ৩২/২০২২ নং মামলাটিতে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধ রাখা সহ স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এ নির্দেশ চলাকালীন সময়েও চলতি বছরের ৩রা জানুয়ারী অভিযুক্তরা সমিতির ভেতরের আসবাবপত্র, নারীদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সহ কম্পিউটার এবং গাছপালা ভাংচুর ও লুট করে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এ বিষয়ে সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করা হয় এবং জেলা পুলিশ সুপার, সমবায় কর্মকর্তা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কে লিখিত ভাবে অবগত করা হলেও অবরুদ্ধই রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

৫ নং হরিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, হরিপুর মহিলা সমবায় সমিতিটি আমাদের এ অঞ্চলের বেশ পুরনো একটি প্রতিষ্ঠান। এর থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে আমাদের এ এলাকার অগনিত নারী তাদের কর্মসংস্থান তৈরীতে ভূমিকা রেখেছে। দীর্ঘদিন ধরেই এ সমিতিটি এবং এর জায়গা নিয়ে একটি মহল নানা জটিলতার সৃষ্টি করে আসছে। বিগত সরকারের সময়েও তারা তাদের প্রভাব খাটিয়ে এসব করেছে, বর্তমানেও তাই করছে। তবে সকল জটিলতা কাটিয়ে সমিতিটি আবারোও আলোর মুখ দেখবে এমনটাই আশা করছি।

হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকারিয়া জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ